Maldah: আমবাগান থেকে মিলল প্রচুর অস্ত্র, পুলিশের হাতে গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ছেলে
Maldah: কেন ওই আগ্নেয়াস্ত্র এলাকায় আনা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একই সঙ্গে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে এই অস্ত্রের সঙ্গে ধৃতদের কী যোগ।

মালদহ: আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলেও রয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল নেতা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষও। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মানিকচক থানার গোপালপুর এলাকায়। একটি আমবাগান থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মানিকচক পুলিশ ধরমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি আম বাগানে অভিযান চালায়। সেই আম বাগান থেকেই কার্নেল আনোয়ার, কাসিম শেখ ও নূর হোসেন নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই কার্নেল আনোয়ারই মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের শেখ সইফুদ্দিনের ছেলে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও ঘটনায় অভিযুক্তদের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মেলেনি সইফুদ্দিনের বক্তব্যও। স্বভাবতই এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছ থেকে কার্নেল, কাসিম ও নূরের কাছ থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি হাঁসুয়া, চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন ওই আগ্নেয়াস্ত্র এলাকায় আনা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একই সঙ্গে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে এই অস্ত্রের সঙ্গে ধৃতদের কী যোগ। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি ফোনে বলেন, “এটা দলের বিষয় নয়, পুলিশ তদন্ত করছে। অভিযুক্ত যেই হোক, প্রমাণিত হলে শাস্তি পাবেই।” যদিও বিজেপি এই ঘটনায় সন্ত্রাসের আবহ তৈরির চেষ্টার গন্ধ পাচ্ছে।
বিজেপি নেতা গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “গ্রামে গ্রামে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই সন্ত্রাস শুরু হয়ে গেছে। মানিকচকের গোপালপুরে বোমা বানাতে গিয়ে তিন তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ওই কর্মাধ্যক্ষ এবং আরও এক তৃণমূল নেতার গোষ্ঠী কোন্দলেই এই ঘটনা। এখন আবার তাঁর ছেলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ধরা পড়ল।” পুলিশসুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “তিনজন গ্রেফতার হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তবে ওদের সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁরা পলাতক। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তদন্ত চলছে।”





