TMC Committee: ‘কলকাতার নেতারা পর্যালোচনা করেননি’, নতুন জেলা কমিটি নিয়ে ‘বেসুরো’ কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ
Maldah: পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসকদলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ মালদহ জেলায়। যিনি সুর চড়িয়েছেন তিনি কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ, দীর্ঘদিনের শাসকদলের নেতা। তাঁর দাবি, যাঁদের নতুন জেলা কমিটিতে আনা হয়েছে, তাঁদের রাজনৈতিক সক্রিয়তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
মালদহ: জেলা কমিটি নিয়ে বেসুরো রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী (Krishnendu Narayan Chowdhury)। কৃষ্ণেন্দুনারায়ণের তোপ, যাঁরা কখনও রাজনীতি করেননি, দলের মিছিলে হাটেননি, স্লোগান দেননি, পাড়ায় পাঁচটা ছেলে জোগাড়ের ক্ষমতা নেই, তাঁদের জেলা কমিটিতে আনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণের দাবি, কলকাতার নেতারা পর্যালোচনা না করেই জেলা কমিটি তৈরি করেছেন। ফলে দলের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণের এমন মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। যদিও জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুল রহিম বক্সি বিষয়টি আমল দিতে নারাজ। তিনি জানান, কিছু মানুষ দলের বিরোধিতা করেন। না হলে তাঁদের রাতের ঘুম হয় না। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই শাসকদলের অন্দরে দলাদলির অভিযোগ বাড়ছে। অন্তর্কলহের অভিযোগে বছরভর যেসব জেলা শিরোনামে থাকে, তার মধ্যে অন্যতম মালদহ। একাধিকবার যা নিয়ে শীর্ষনেতৃত্বের কাছে অভিযোগও গিয়েছে। আরও একবার সেই ছবিই দেখা যাচ্ছে।
কৃষ্ণেন্দুনারায়ণের কথায়, “যে কমিটি দেখছি তাতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কেউ নেই। আমার এত বছরের রাজনৈতিক জীবন, কোনওদিন তাঁকে মিছিলে হাঁটতে দেখলাম না। পার্টির স্লোগান দিতে, হ্যান্ডবিল ছাপতে, পোস্টার দিতে দেখিনি। তাঁকে জেলা কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি করা হয়েছে। এমনও লোক আছে যাঁদের পাঁচটা লোক নেই সঙ্গে, তাঁরা জেলা কমিটিতে চলে এসেছেন। জেলা কমিটি জেলায় দলের সর্বোচ্চ যে পলিসি, সেটা দেখে। এখানকার যিনি দায়িত্বে আছেন, তিনি ভেবেছেন এদের আনলে দল শক্তিশালী হবে। অথচ এরা দলের বিরোধিতা করেছে। উনি কমিটি করে দিয়েছেন, কলকাতার নেতারা তা পর্যালোচনা করেননি। ফলে ক্ষোভ বাড়ছেন।”
এ নিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুল রহিম বক্সি বলেন, “কিছু মানুষের কাজই বিরোধিতা করা। তা না করতে পারলে রাতে ঘুমোতেই পারবে না। সমাজে এ ধরনের কিছু মানুষ ঘুরে বেড়ায়। আমাদের এই জেলা কমিটিকে দলের বুথ স্তর থেকে জেলা স্তর, সমস্ত নেতা-কর্মীরা সমর্থন করেছেন। সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই এটা হয়েছে।” একইসঙ্গে তাঁর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস জেলায় ঐক্য়বদ্ধ। সকলে একসঙ্গেই কাজ করে। এখানে রেষারেষির কোনও জায়গা নেই।
তবে আব্দুল রহিম বক্সি যতই বলুন, দলের অন্দরে রেষারেষি নেই, বিরোধীরা সে তত্ত্ব মানতে নারাজ। বিজেপি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “তৃণমূলের কয়েকদিন আগে জেলা কমিটি হয়েছে। তা নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ শুনছি। মালদহে তৃণমূল এমনিই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার। সেটাই বড় আকার নিচ্ছে। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে সেটা বড় আকার নেবে।”