Hospital: ‘মৃত’ শিশু ঘরে ফিরতেই চোখ পিট পিট, পড়ছে শ্বাসও… সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠল পরিবার

Maldah: গ্রামবাসী ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক আইফারানা ইয়াসমিনের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও তোলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে যায় পুলিশবাহিনী।

Hospital: 'মৃত' শিশু ঘরে ফিরতেই চোখ পিট পিট, পড়ছে শ্বাসও... সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠল পরিবার
শিশুমৃত্যু ঘিরে তুলকালাম।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 21, 2023 | 12:15 PM

মালদহ: জীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করার অভিযোগ উঠল হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় মালদহের ভালুকা হাসপাতালে। শুক্রবার ভালুকা গ্রামীণ হাসপাতালে বিক্ষোভও দেখান গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, ভালুকা এলাকার গোবরা গ্রামের বাসিন্দা তপন মহালদারের পাঁচ দিনের বাচ্চা বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাড়ির লোকজন তাকে স্থানীয় ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরিবারের দাবি, সেখানে কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসার আইফারানা ইয়াসমিন শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাচ্চাটিকে বাড়িতেও ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।

এদিকে বাড়ির লোকজনের দাবি, শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে গেলে দেখেন চোখ মেলে তাকিয়েছে সে। নিঃশ্বাসও নিচ্ছে। আবারও ওই শিশুকে নিয়ে ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছোটে পরিবার। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চাঁচলে রেফার করেন বলে পরিবারের লোকজনের দাবি। চাঁচল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পরিবারের লোকজনের কথায়, চাঁচল মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, কিছুক্ষণ আগে আনলে শিশুটিকে বাঁচানো যেত

এরপরই পরিবারের লোকজন, গ্রামবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও চলে হাসপাতালে। তাঁদের অভিযোগ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে শিশুটি মারা যায়। গ্রামবাসী ভালুকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক আইফারানা ইয়াসমিনের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও তোলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে যায় পুলিশবাহিনী। যদিও অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক আইফারানা ইয়াসমিন জানান, শিশুটিকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তার আগেই শিশুটি মারা গিয়েছিল। বিক্ষোভকারী এক গ্রামবাসী নীরদ চৌধুরী জানান, ভালুকা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে এই শিশুর মৃত্যু হল। আমরা ওই চিকিৎসকের উপযুক্ত শাস্তি চাই।