শুভেন্দু দল ছাড়ার পর নন্দীগ্রামে প্রথম সভা করতে চলেছেন মমতা

কাঁথি থেকে এসপার-ওসপার যুদ্ধের যে ডাক সৌগত রায়-ফিরহাদ হাকিমরা দিয়েছেন, সেটাকেই আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে এবার শুভেন্দুর নির্বাচনী কেন্দ্রে সভা করতে চলেছেন মমতা।

শুভেন্দু দল ছাড়ার পর নন্দীগ্রামে প্রথম সভা করতে চলেছেন মমতা
ছবি - ফেসবুক
Follow Us:
| Updated on: Dec 24, 2020 | 12:26 AM

কলকাতা: আগামী ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের (Nandigram) তেখালিতে জনসভা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ২০০৭ সালে ৭ জানুয়ারির ওই দিনই নন্দীগ্রামের তিন আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়। সেই দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছর শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) স্মরণ অনুষ্ঠান করতেন। শুভেন্দু দল ছাড়ার পর নন্দীগ্রামে এটাই প্রথম সভা হতে চলেছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। প্রতি বছর এই বিশেষ দিনে শুভেন্দু এই স্মরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও এবার প্রথম সেখানে উপস্থিত থাকতে চলেছেন খোদ মমতা। দুপুর ১টায় এই সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে।

যেই নন্দীগ্রাম থেকে আন্দোলনের পথ ধরে তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্থান, সেই নন্দীগ্রামের ‘বেতাজ বাদশাহ’ শুভেন্দুই এখন পদ্মশিবিরে। ‘এতে অবশ্য কিছুই যাবে আসবে না’। তৃণমূল মুখে এমনটা বললেও শুভেন্দুর দলত্যাগ সহজে হজম হওয়ার নয় শাসকদলের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত এমনই। সেই মতে ক্রমশ সিলমোহর দিচ্ছে তৃণমূলের একের পর এক কর্মসূচি। এদিন কাঁথিতে দলীয় নেতৃত্বের প্রথম সারির নেতাদের জনসভা ও ব্যক্তি শুভেন্দুকে আক্রমণের ভঙ্গিই বলে দিয়েছে, ‘অধিকারী গড়’ নামক মিথ ভাঙতে কতটা মরিয়া শাসকদল। এদিন কাঁথি থেকে এসপার-ওসপার যুদ্ধের যে ডাক সৌগত রায়-ফিরহাদ হাকিমরা দিয়েছেন, সেটাকেই আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে এবার শুভেন্দুর নির্বাচনী কেন্দ্রে সভা করতে চলেছেন মমতা।

আরও পড়ুন:শুভেন্দু নিজেই লিফটে উঠেছে, ইঁদুরের সঙ্গে তুলনা সৌগতর

শুভেন্দু রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে একটি সভা করেছিলেন। দিনকয়েকের মধ্যেই ওই মাঠেই অমিত শাহের হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নেন শুভেন্দু। তবে মেদিনীপুরের সভায় তিনি একবারও শুভেন্দুর নাম নেননি। তবে নন্দীগ্রামের সভা থেকে তিনি দলত্যাগী এই নেতার নাম নেন কিনা সেদিকে নজর থাকবে গোটা রাজ্যের। তবে এই প্রসঙ্গেই মনে করিয়ে দেওয়া যায়, বর্তমান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় দল ছাড়ার পর থেকে তাঁর নামও কখনই নিতে শোনা যায়নি মমতাকে। দু-একবার খালি ‘গদ্দার’ বলে সম্বোধন করেছেন। তাই শুভেন্দুর ক্ষেত্রে কী হয়, এবং নাম না নিলেও মমতা নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে কী বার্তা দেন, সেদিকে এখন থেকেই চোখ আটকে রয়েছে গোটা রাজ্যের।

আরও পড়ুন: কাঁথি কোনও পরিবারের জমিদারি নয়, ‘অধিকারী গড়ে’ দাঁড়িয়ে সৌগতর হুঙ্কার