কাঁথি কোনও পরিবারের জমিদারি নয়, ‘অধিকারী গড়ে’ দাঁড়িয়ে সৌগতর হুঙ্কার

'আমি ওকে বলেছিলাম, শুভেন্দু তুমি পর্যবেক্ষকের পদ ফেরত চাইছো সেটা করা যাবে না। তুমি দলে থাকো বাকি যা চাইবে পাবে।'

কাঁথি কোনও পরিবারের জমিদারি নয়, 'অধিকারী গড়ে' দাঁড়িয়ে সৌগতর হুঙ্কার
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়
Follow Us:
| Updated on: Dec 23, 2020 | 4:44 PM

কাঁথি: একুশের নির্বাচনে বাংলা থেকে ২০০-র বেশি আসন নিয়ে ভোটে জেতার চ্যালেঞ্জ দিনকয়েক আগেই ছুড়ে দিয়েছেন অমিত শাহ। এদিন অধিকারী গড় কাঁথিতে দাঁড়িয়ে পাল্টা দিলেন সৌগত রায়ও (Sougata Roy)। পদযাত্রার পর সবাবেশে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘মোটা ভাই অমিত শাহ নিজের কাজ না করে লাফিয়ে লাফিয়ে এখানে এসে স্বপ্ন দেখছেন। বলছেন ২০০ আসন পাবেন। অমিত শাহ কী নেশা করেন জানি না। যে জন্য এরকম দিবাস্বপ্ন তিনি দেখছেন। বিজেপির কর্মীরা হনুমানের মত লাফিয়ে লাফিয়ে চললেও কোনও পার্থক্য হবে না।’

পাল্টা চ্যালেঞ্জে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের দাবিই প্রতিফলিত হয় এদিন সৌগতর কণ্ঠেও। সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘বিজেপি ৯৯ পেরোবে না।’ শুভেন্দু ও অধিকারী পরিবারের নাম না করে তাঁর পাল্টা তোপ, ‘কাঁথি কোনও পরিবারের জমিদারি নয়।’ বার্তা দেওয়ার সুরে তিনি আরও বলেন, ‘৪০ বছর ধরে কাঁথি আসছি। কিন্তু এদিন যে মিছিল হয়েছে, এরকম মিছিল সর্বকালের সেরা। এটাই প্রমাণ করছে, কাঁথি কারও বাপের জমিদারি নয়। অখিল গিরি বড় দায়িত্ব পালন করছে। সমুদ্র থেকে এক কাপ জল নিলে যেমন কমে যায় না, তেমনই তৃণমূল থেকে কেউ বেরিয়ে গেলে দলের কিছু আসে যায় না।’

এদিন সৌগতর গলায় উঠে আসে দেশের অর্থনীতি ও করোনা পরিস্থিতির প্রসঙ্গও। ‘দেশে আরও আগে লকডাউন হলে আজ এক কোটি মানুষ আক্রান্ত হতেন না। এর জন্য আমরা নরেন্দ্র মোদীকে ধিক্কার জানাই’, বলেন তৃণমূলের এই বর্ষীয়ান সাংসদ। তাঁর দাবি, ‘মোদীজী অম্বানিদের কাছে সুযোগ করে দিচ্ছেন। ৪ কোটি লোক বেকার হয়েছে। ব্যাংকগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। অথচ মোদী সরকারের বন্ধু নীরব মোদী, বিজয় মালিয়ারা নিজেদের পকেটে টাকা ভরে পালিয়ে সুখে রয়েছে।’

আরও পড়ুন: অধিকারী বাড়ির সামনে দিয়ে তৃণমূলের মিছিল, স্লোগান উঠল ‘মীরজাফর, বিশ্বাসঘাতক’

সভার প্রথমদিকে শুভেন্দুর নাম না নিলেও এরপর প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীর (Suvendu Adhikari) নাম করেই আক্রমণে শান দেন সৌগত। তিনি সোজাসুজি জানতে চান, দুটো মন্ত্রক-সহ এত পদ পাওয়ার পরও শুভেন্দুর আরও কত চাই। এদিন আরও একটি কথা ফাঁস করেন বর্ষীয়ান সাংসদ। বলেন, ‘আমি ওকে বলেছিলাম, শুভেন্দু তুমি পর্যবেক্ষকের পদ ফেরত চাইছো সেটা করা যাবে না। তুমি দলে থাকো বাকি যা চাইবে পাবে।’ সৌগত বলে চলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। আমি বসিয়েছিলাম। প্রশান্ত কিশোরও ওই বৈঠকে ছিল। শুভেন্দু সেদিন বলল, অভিষেক তোমার বিরুদ্ধে আমার কোনও আপত্তি বা অভিযোগ নেই।’ এরপরও শুভেন্দুর মুখে ‘তোলাবাজ ভাইপো হঠাও’ কথা শুনে রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন সৌগত।

আরও পড়ুন: অগ্নিমিত্রাকে ‘দলবিরোধী’ মন্তব্যের জন্য শোকজ নোটিস বিজেপির