Ladakh: বাইক নয়, পায়ে হেঁটেই লাদাখ জয় সিঙ্গুরের মিলনের! ৮৩ দিনের কঠোর পরিশ্রমেই হল স্বপ্নপূরণ

Ladakh: গত ১৫ মে লাদাখের খারদুংলা পাসে যখন মিলন পৌছায় তখন দুপুর ২টো বেজে ৫ মিনিট। প্রায় ২৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে লাদাখের ১৮৩৮০ ফুট উচ্চতায় খারদুংলা পাস জয় করে সিঙ্গুরের এই তরুণ-তুর্কি।

Ladakh: বাইক নয়, পায়ে হেঁটেই লাদাখ জয় সিঙ্গুরের মিলনের! ৮৩ দিনের কঠোর পরিশ্রমেই হল স্বপ্নপূরণ
ছবি - পায়ে হেঁটেই লাদাখ জয়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 22, 2022 | 8:22 PM

সিঙ্গুর: বিনা অক্সিজেনে এভারেস্ট (Everest) জয় করে নয়া রেকর্ড করেছেন বঙ্গ তনয়া পিয়ালি বসাক(Piyali Basak)। কিন্তু পিয়ালির মতো পাহাড় অভিযানের স্বপ্ন বুকে রয়েছে বাংলার হাজার হাজার তরুণ তুর্কির। ছোট থেকেই এ স্বপ্ন দেখতেন হুগলির সিঙ্গুরের (Singur in Hooghly) মিলন মাঝি। পাহাড়ে যাওয়ার স্বপ্ন তাঁর বহু দিনের। ইচ্ছা ছিল বাইকে করে লাদাখ যাওয়ার কিন্তু বাইক কেনার টাকা ছিল না,তা বলে কী স্বপ্ন সফল হবে না? মনের জোর এবং এক প্রকার জেদের বসেই পায়ে হেঁটে লাদাখের খারদুংলা পাস জয় করেছে সিঙ্গুরের মিলন মাঝি। তারফলে প্রথম কোনও বাঙালি যুবক পায়ে হেঁটে লাদাখের (Lakdakh) খারদুংলা পাস জয় করলেন।

রবিবার গ্রামের ছেলে বাড়িতে ফিরতেই গ্রামবাসীরা মিলনকে নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে কামারকুন্ডু স্টেশন থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে। হারিপালের বিধায়ক করবী মান্না মিলনের সঙ্গে পায়ে হেঁটে আসেন তাঁর বাড়িতে। পুষ্পস্তবক দিয়ে মিলনকে সংবর্ধনাও দেন তিনি। প্রসঙ্গত, সিঙ্গুরের বাজেমেলিয়া গ্ৰামের  যুবক মিলন মাঝি আদপে পেশায় একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়র। গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ৯:৩০ মিনিট নাগাদ লাদাখের উদ্দেশ্যে হাওড়া ব্রিজ থেকে হাঁটা শুরু করেন মিলন। কিন্তু, তাঁর গন্তব্য নিয়ে তখনও অন্ধকারে পরিবারের সদস্যরা। তারা জানেন কাজেই বেরিয়েছে বাড়ির ছেলে। 

কিন্তু, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেই নিজের গন্তব্যের কথা জানাতেই শোরগোল পড়ে যায় মিলনের পরিবার থেকে বন্ধু মহলে।  সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোষ্ট করে মিলন সবাইকে জানায় সে লাদাখ যাচ্ছে, কিন্তু পুরো পথই পাড়ি দেবে পায়ে হেঁটে। তারপর সবটাই ইতিহাস। অনেক কষ্ট সহ‍্য করে ৮৩ দিনের মাথায় পূরণ হয় তাঁর স্বপ্ন। গত ১৫ মে লাদাখের খারদুংলা পাসে যখন সে পৌছায় তখন দুপুর ২টো বেজে ৫ মিনিট। প্রায় ২৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে লাদাখের ১৮৩৮০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত খারদুংলা পাস জয় করার পর কান্নায় ভেঙে পড়ে মিলন। পাহাড়ে উঠে জাতীয় পতাকাও তোলে বিজয় ধ্বজা হিসাবে। এই খবর, জানা মাত্রই খুশির জোয়ার ভাসে মিলনের পরিবারের সদস্যরা। 

বাড়ি ফিরে পায়ে হেঁটে লাদাখ অভিযান প্রসঙ্গে মিলন বলেন, ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল লাদাখ যাওয়ার। ইচ্ছে ছিল বাইকে করে যাওয়ার, কিন্তু অৰ্থনৈতিক কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি। মনের মধ্যে একটি জেদ এসেছিল,যেখানে মানুষ বাইকে করে যায়, সেখানে প্রথম কোনও বাঙালি ছেলে পায়ে হেঁটে গিয়ে পায়ের ছাপ ছেড়ে আসবে। সেটা আমি করতে পেরেছি। যেটা ১০০ দিনে বলেছিলাম সেটা ৮৩ দিনেই করে দেখিয়েছি”। অন্যদিকে মিলনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতে দেখা যায় হরিপালের বিধায়ক করবি মান্নাকেও।