CPIM: সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে গিয়ে গ্রেফতার ১৫ বাম কর্মী, কী কী ধারায় পুলিশ মামলা করেছে জানেন?
CPIM: পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল ২৫ জন সিপিএম কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তাঁর মধ্যে গ্রেফতার হন ১৫ জন। তাঁদের বুধবার তোলা হয় মুর্শিদাবাদ জেলা আদালতে। ধৃত ১৫ জনের মধ্যে তিনজনকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।এর মধ্যে জামাল হোসেন,শাহনাজ ইসলাম ও সাহাদাত আলিকে দু' দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক নীলাঞ্জন মৌলিক।
মুর্শিদাবাদ: মঙ্গলবার সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে গোটা রাজ্যজুড়ে ‘আইন অমান্য’ কর্মসূচি পালন করে বামেরা। মুর্শিদাবাদেও এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। তবে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়ে সেখানে। পুলিশ ও বাম নেতা-কর্মীদের মধ্যে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। গ্রেফতার হন ১৫ জন বাম কর্মী। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া ১৫ জন কর্মীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তার মধ্যে সরকারি সম্পত্তির ভাঙচুর, খুনের চেষ্টা, সরকারি কর্মীকে মারধর সহ একাধিক ধারায় মামলা রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল ২৫ জন সিপিএম কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তাঁর মধ্যে গ্রেফতার হন ১৫ জন। তাঁদের বুধবার তোলা হয় মুর্শিদাবাদ জেলা আদালতে। ধৃত ১৫ জনের মধ্যে তিনজনকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।এর মধ্যে জামাল হোসেন,শাহনাজ ইসলাম ও সাহাদাত আলিকে দু’ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক নীলাঞ্জন মৌলিক। ধৃত ১২ জনের জেল হেফাজত হয়েছে। আগামী ১৬ তারিখ আদালতে তোলা হবে তাঁদের।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বহরমপুরের পরিস্থিতি। পুলিশের ব্যারিকেডের উপরেই উঠে যান বাম-কর্মীরা। ব্যারিকেট ভাঙার চেষ্টা করেন। তখনই বাধা দেয় পুলিশ। ধস্তাধস্তি চলে দু’পক্ষের মধ্যে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাসের সেল ছোড়া হয়। এই পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয় আনারুল ইসলাম নামে এক বামকর্মীর। সিপিএম-এর দাবি, টিয়ার গ্যাসের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আনারুল। তারপরই মৃত্যু তাঁর। যদিও, জেলা পুলিশ সুপার সূর্য প্রতাপ যাদব বলেছেন, “পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জানিয়েছে তারা দেহ ময়নাতদন্ত করবে না। মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে ওই ব্যক্তির সেরিব্রাল অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে।”