Murshidabad School: লাল চুল, হাতে বাইক, পরনে স্কুলের ইউনিফর্ম, রেগে লাল হেড স্যর, নিয়ে ছুটলেন সেলুনে…
Murshidabad School: এই স্কুলে সদ্য প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়েছেন কাঞ্চন মণ্ডল। কিন্তু, দায়িত্ব নিতে না নিতেই ছাত্রদের আচরণে, জীবন শৈলী দেখে খানিকটা হলেও চিন্তিত ছিলেন তিনি। ‘শোধরাতে’ অভিভাবকদের মিটিং ডাকেন।
বেলডাঙা: কারও লাল, নীল, কারও আবার সবুজ। তাও আবার সেই কত রকমের স্টাইল। বয়স ১৮-র গণ্ডি পার না করলেও হাতে বাইক। ছুটছেও দুরন্ত গতিতে। পরনে স্কুলের ইউনিফর্ম থাকলেও তাতেও সব রকমারি স্টাইলের অন্ত নেই। আর তা দেখেই মন ভার স্কুলের হেড স্যরের। দায়িত্ব নিতে নিতেই অভিভাবকদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠকও করেন। কিন্তু, তারপরেও বাগে আনা যাচ্ছিল না ৩৭টি ছেলেকে। আর তাঁদেরই সোজা নিয়ে চলে গেলেন সেলুনে। কেটে দিলেন চুল। হ্যাঁ, এই ছবিই দেখা গিয়েছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ভাবতা নেতাজি হাইস্কুলে।
এই স্কুলে সদ্য প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়েছেন কাঞ্চন মণ্ডল। কিন্তু, দায়িত্ব নিতে না নিতেই ছাত্রদের আচরণে, জীবন শৈলী দেখে খানিকটা হলেও চিন্তিত ছিলেন তিনি। ‘শোধরাতে’ অভিভাবকদের মিটিং ডাকেন। কিন্তু সেখানেও আবার সকলে আসেননি। যাঁরা আসেন তাঁদের বুঝে বলেন গোটা ব্যাপারটা। অনেক মা-বাবাই কথা দেন ছেলেদের ‘ভদ্র বেশেই’ স্কুলে পাঠাবেন। এমনকী বাইক নিয়ে যাতে না আসে সে বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। কাজও হয়। তবে তারপরেও গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়েই চলে আরও বেশ কিছু পড়ুয়ার দল। আর তাদের সোজা করতেই সোজা সেলুনে নিয়ে গেলেন কাঞ্চনবাবু।
রকমারি সব চুলের জাদু ভুলিয়ে করলেন সোজা। ৩৭ জনের চুল কাটিয়ে নিজের পকেট থেকে দিলেন প্রায় ২ হাজার টাকা। এ প্রসঙ্গে কাঞ্চন বাবু বলেন, “২ মাস আমি দায়িত্ব নিয়েছি হেড স্যর হিসাবে। তারপর থেকেই ওদের শোধরানোর চেষ্টা করছি। অভিভাবকদেরও বলেছিলাম। অনেকেই কথা শুনেছিল। কাজও হয়েছিল। আসলে বাচ্চারাও তো আবার সন্তানের মতো। মা-বাবার মতো আমারও তো দায়িত্ব আছে। তাই শেষ পর্যন্ত নিজেই নিয়ে গিয়ে ওদের চুল কাটিয়ে আনলাম।”