Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Migrant Worker: মুম্বইয়ে কাজে গিয়ে মৃত্যু যুবকের, ‘বাংলায় কাজ থাকলে বাইরে যেতে হত না’, আক্ষেপ মায়ের

Migrant Worker: চারদিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন ওই শ্রমিক। শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই খবর বাড়িতে আসতেই কান্নায়স ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। শনিবারই হচ্ছে ময়নাতদন্ত। তারপরই তাঁর দেহ বাড়িতে আসবে বলে জানা যাচ্ছে।

Migrant Worker: মুম্বইয়ে কাজে গিয়ে মৃত্যু যুবকের, ‘বাংলায় কাজ থাকলে বাইরে যেতে হত না’, আক্ষেপ মায়ের
শোকেরে ছায়া গ্রামে Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 03, 2024 | 4:58 PM

ফারাক্কা: ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু। মুম্বইয়ে কাজ করতেন মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার বেওয়া -১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জিতুপুর গ্রামের লব মল্লিক (২১)। আচমকা তাঁর মৃত্যুর খবর আসে পরিবারের সদস্যদের কাছে। পরিবার সূত্রে খবর, মাস দুয়েক আগে বাণিজ্য নগরীতে পাড়ি দিয়েছিলেন লব। সেখানে একটি বেসরকারি সংস্থার তত্ত্বাবধানে মেট্রোরেলের কাজ করছিলেন।  সূত্রের খবর, সেখানে কাজ করার সময়েই দিন চারেক আগে মাথায় ভারী লোহ ভেঙে পড়ে। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর সহকর্মীরা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। 

চারদিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন ওই শ্রমিক। শুক্রবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই খবর বাড়িতে আসতেই কান্নায়স ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। শনিবারই হচ্ছে ময়নাতদন্ত। তারপরই তাঁর দেহ বাড়িতে আসবে বলে জানা যাচ্ছে। ভাইপোর মৃত্যুতে চোখে জল বাঁধ মানছে না কাকা সিনু মল্লিকের। শুধু বলছেন এখানে কাজ থাকলে তো আর বাইরে যেতে হত না। বলছেন, “মাসে দুয়েক আগে কাজে গিয়েছিল। ওখানেই দুর্ঘটনা হয়েছে। মাথায় লোহা পড়ে গিয়ে এই কাণ্ড। কাল রাতে আমরা খবর পাই। খুবই খারাপ লাগছে। আমাদের এখানে তো কাজ নেই। তাই বাইরে যেতে হয়। এখানে কাজ থাকলে আর বাইরে যেতে হত না। ওরা চার ভাই আর তিন বোন। বাবা শয্যাশায়ী। বাড়ির আর্থিক অবস্থা তো ভাল নয়, তাই বাধ্য হয়েই বাইরে কাজে যেতে হয়েছিল ওকে।”

শোকে পাথর মা। বলছেন, “কী করে যে কী হল কিছুই বুঝতে পারছি না। কেউ কিছু করে দিল কিনা তাও বুঝতে পারছি না। এ রাজ্যে তো কাজ নেই। আমরা তো গরিব মানুষ। না খাটলে তো কোনও উপায় নেই। কাজ তো করতেই হবে নাহলে পেট চলবে না। তাই বাধ্য হয়ে ছেলেটা বাইরে গিয়েছিল।”