সস্ত্রীক অভিষেককে তলব ইডি-র: ‘তোতাপাখি’ তত্ত্ব স্মরণ করালেন অধীর

Adhir Chowdhury commented on Coal Scam: রবিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে সিবিআই বা ইডি-র বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অধীরের মন্তব্য, হাইকোর্ট যদি তদন্ত করতে পারে, তাহলে তদন্ত হোক। কোর্টের ওপর আমাদের ভরসা আছে। রাজ্য হোক আর কেন্দ্র, প্রশাসনকে নিরপেক্ষ হতে হবে।

সস্ত্রীক অভিষেককে তলব ইডি-র: 'তোতাপাখি' তত্ত্ব স্মরণ করালেন অধীর
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2021 | 7:14 PM

মুর্শিদাবাদ: কয়লাকাণ্ডে সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ( Abhishek Banerjee)-কে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। আগামী ১ সেপ্টেম্বর অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা এবং ৩ সেপ্টেম্বর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক-কে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ইডি-র সেই দিল্লি তলব নিয়ে এদিন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ ব্রায়নের কটাক্ষ করেছেন। আর এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কথায়, “ইডি ও সিবিআই-কে মোদী সরকার যেভাবে ব্যবহার করেছে, তাতে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা সাধারণ মানুষের কাছে থাকছে না। সুপ্রিম কোর্টও বলছে, তারা খাঁচার মধ্যে বন্দী টিয়াপাখি।”

রবিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে সিবিআই বা ইডি-র বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অধীরের মন্তব্য, হাইকোর্ট যদি তদন্ত করতে পারে, তাহলে তদন্ত হোক। কোর্টের ওপর আমাদের ভরসা আছে। রাজ্য হোক আর কেন্দ্র, প্রশাসনকে নিরপেক্ষ হতে হবে।

উল্লেখ্য, কয়লা-কাণ্ডে ফের সক্রিয় হয়েছে ইডি। সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি। আগামী ১ সেপ্টেম্বর অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা এবং ৩ সেপ্টেম্বর অভিষেক ব্যানার্জিকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতারা। আর শনিবার অভিষেকের মুখে শোনা যায় আক্রমণের সুর। হিন্দিতে তিনি অমিত শাহকে নিশানা করে হুঁশিয়ারি দেন, “আপ লোগোকো লালত হ্যায় থোড়া বহুত ধমকানে সে চমকানে সে এ বইঠ জায়েগা। জান জায়েগা, জীবন জায়েগা, জো উখরনা চাহে উখার লো। অমিত শাহকো চুনৌতি দেতা হু। আপ হামে রোককে দিখাও।” ইডি-র এই তলব প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পেরে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। এবার একই প্রসঙ্গে সিবিআই, ইডি-র বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করে এবং কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এহেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

একইসঙ্গে এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য প্রসঙ্গেও প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মোদী সরকারের সঙ্গে বাজপেয়ী জমানার তুলনা টানেন অধীর। তিনি বলেন, “ভারতবর্ষের ক্ষমতায় যারা থাকবেন এ দেশকে রক্ষা করার দায়িত্বে তারা থাকবে। স্বাধীনতার পর অনেকবার পাকিস্তানকে পরাজিত করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে অটল বিহারি বাজপেয়ীকে আমরা সমর্থন করেছিলাম। অটল বিহারী বন্ধুত্ব করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান গদ্দারী করেছিল। কিন্তু শুধু পাকিস্তানের কথা কেন বলছেন, চিনের কথা ভুলে যাচ্ছেন! ভারতবর্ষের বিস্তীর্ণ এলাকায় চিন অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে বসে আছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বলার হিম্মত আছে চিনের বিরুদ্ধে নেই কেন? ভারতবর্ষ শুধু বাইরের নিরাপত্তা নয় অভ্যন্তরীণ দিক থেকেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।” মন্তব্য অধীরের।

প্রসঙ্গত, এদিন রাজনাথ সিং জানিয়েছেন যে আফগানিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতি ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশকে নতুন করে কৌশল পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করছে। ভারত আফগানিস্তানের জন্য কৌশলে পরিবর্তন আনছে। আরও পড়ুন: ‘টাকা দিয়ে কেস মেটাতে বলেছে পুলিশ,’ সিবিআই অফিসারের পা জড়িয়ে বিচার চাইলেন বিজেপি কর্মীর মা