Adhir Chowdhury: ‘কেষ্ট টাকা একা খায়নি’, সুর চড়ালেন অধীর
Anubrata Mondal: অধীর রঞ্জন চৌধুরী বললেন, "অনুব্রত মণ্ডলের মতো লোকের ক্ষমতা নেই এইরকম হাজার হাজার কোটি টাকা রোজগার করা। কেষ্ট টাকা একা খায়নি। তদন্ত হোক, প্রমাণ হবে।"
মুর্শিদাবাদ : প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তারপর অনুব্রত মণ্ডল। দুই তাবড় নেতার গ্রেফতারি নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক শিবির। এরই মধ্যে রবিবার বেহালা ম্যান্টন থেকে বেশ কয়েকবার অনুব্রতর কথা শোনা গেল তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের গলায়। এই নিয়েই শাসক দলকে বিঁধতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি। এবার সেই অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বললেন, “অনুব্রত মণ্ডলের মতো লোকের ক্ষমতা নেই এইরকম হাজার হাজার কোটি টাকা রোজগার করা। কেষ্ট টাকা একা খায়নি। তদন্ত হোক, প্রমাণ হবে।”
সেই সঙ্গে রাজ্যের শাসক দলের উপর আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “কেষ্ট যাতে আর মুখ না খোলে, তার জন্য কেষ্টকে সামলাতে কেষ্টর জন্য আন্দোলন করার কথা বলা হচ্ছে। লাখ লাখ কেষ্ট করার গল্প শোনাচ্ছে। কারণ, কেষ্ট যদি আর মুখ খোলে, তাহলে অনেকের হয়ত আর নিস্তার হবে না। তাই কেষ্ট যাতে অভিমানে আর মুখ না খোলে, তার জন্য বাইরে আন্দোলন করার কথা বলা হচ্ছে। জেল ভরার কথা বলা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার আজ তার গতি হারিয়েছে, লক্ষ্য হারিয়েছে। তারা জানে না, তারা কী করছে, কী বলছে।”
একইসঙ্গে তিনি বক্রোক্তি শানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেও। বলেন, ” বোলপুরের কেষ্ট একা তো চুরি করেনি। সত্য তো এটাই। সরকার তৃণমূলের। মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের। পুলিশমন্ত্রী তৃণমূলের। আর দিদিরই অজান্তে পশ্চিমবঙ্গে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে। দিদি কিছুই জানছেন না। তিনি এমন করে গান্ধারী সাজলে তো আমাদের মুশকিল। তিনি তো গান্ধারী নন। তিনি তো সবই দেখছেন।” প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলার তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আপাতত অনুব্রত মণ্ডল রয়েছেন সিবিআই হেফাজতে।