Murshidabad Medical College and Hospital: ‘কুরুচিকর’ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাকরিটাই চলে গেল! প্রতিবাদে অনশনে কর্মবন্ধুরা
Murshidabad : বেআইনিভাবে কাজ থেকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে আজ সকাল থেকে অনশন কর্মসূচি করেন কর্মবন্ধুরা।
মুর্শিদাবাদ : স্বাস্থ্যকর্মীদের একে একে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে রাজ্য জুড়ে। এরই মধ্যে সোমবার মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Murshidabad Medical College and Hospital) অনশন কর্মসূচি পালন করলেন ৩০-৪০ জন কর্মবন্ধু। তাঁদের অভিযোগ, বেআইনিভাবে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে এ নিয়ে অনশন শুরু করেন তাঁরা।
বেসরকারি সংস্থা নিয়োজিত এই কর্মবন্ধু কর্মীরা। নিয়োজিত সংস্থার সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে কর্মবন্ধু কর্মীদের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, বিভিন্ন অছিলায় তাঁদের দেহ ব্যবসায় নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে! অনশনকারী এক কর্মবন্ধু সুপর্ণা সাহার অভিযোগ, “এখানে মেয়েদের সঙ্গে নোংরামি করা হচ্ছে। এ জন্য আমরা সব জায়গায় গিয়েছি। কিন্তু আমরা কোনও সুফল পাইনি। ভদ্র বাড়ির মেয়ে হয়েও রাস্তায় বসতে বাধ্য হয়েছি”।
এখানেই থামেননি তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার দুই কর্মী অভিজিৎ ঘোষ ওরফে পুঁটি এবং শুক্লা মল্লিক তাঁদের বিভিন্ন ভাবে দেহ ব্যবসায় নামানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁরা তা না মানলে, বরখাস্ত করা হয় বলে অভিযোগ। সুপর্ণা দেবীর কথায়, “আমি পাঁচমাস ধরে বসে আছি। এই বিষয়ে লেবার কমিশনের অফিসে জানিয়েছি। নেতা মন্ত্রীদের কাছেও গিয়েছি। কোনও সুরাহা হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “তারা আমাকে ছুটির দিনে ডেকে পাঠিয়েছে! আমার কাছে ফোনে রেকর্ডিং আছে। ”
উল্লেখ্য, এই অভিযুক্ত সংস্থার অধীনে মোট ৩৭৭ জন কর্মবন্ধু কাজ করেন। তার মধ্য়ে প্রায় ৪৫ জন কর্মবন্ধুকে বেআইনিভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ অনশনকারীদের। অনশনকারীদের একজন আল্পনা খাতুন বলেন, “আমার সন্তান হওয়ায়, ছুটিতে ছিলাম। ১ নভেম্বর আমি কাজে আসি আবার। কিন্তু তখন আমাক ২ লক্ষ টাকা দিতে বলা হয়! দিতে না পারলে শুক্লা ঘোষ কুরুচিকর প্রস্তাব করেন।”
এখানেই শেষ হচ্ছে না অভিযোগের তালিকা। ওই বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগও উঠেছে। এক অনশনকারী জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার দুই কর্মী অভিজিৎ ঘোষ ওরফে পুঁটি, শুক্লা মল্লিক পুরুষ কর্মীদের থেকে টাকাও চাইতেন। যাঁদের ১০,০০০ টাকা বেতন তাদের থেকে ৫০০ টাকা এবং যাঁরা মাসিক বেতন হিসেবে ৭,০০০ টাকা পান তাঁদের থেকে ২৫০ টাকা করে নেওয়া হত। এই রকম একাধিক অভিযোগ নিয়ে এদিন তাঁরা মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে অনশন কর্মসূচি করেন। পরে সন্ধ্যে ৭টায় বহরমপুর থানার পুলিশের আশ্বাসে কর্মসূচি তুলে নেন অনশনকারীরা। এদিকে অভিযুক্ত কর্মী অথবা ওই সংস্থার তরফে এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।