Alipurduar: তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পাচারকারীর সম্পর্কের অভিযোগ এনে বহিষ্কৃত প্রধান! মমতার দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি!

TMC: গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রানা বিশ্বাসকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার ঘোষণা করল তৃণমূল।

Alipurduar: তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পাচারকারীর সম্পর্কের অভিযোগ এনে বহিষ্কৃত প্রধান! মমতার দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি!
বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 10, 2022 | 10:00 PM

আলিপুরদুয়ার: তৃণমূলের জেলা সভাপতির (TMC District President) বিরুদ্ধে বালি ও পাথর পাচারকারীদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ এনেছিলেন দলেরই নেতা। আর তার পরই আলিপুরদুয়ার জেলার শৃঙ্খলামূলক কমিটি নিউল্যান্ডস কুমারগ্রাম সংকোশ (এনকেএস) গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রানা বিশ্বাসকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার ঘোষণা করল দল। সোমবার দীর্ঘক্ষণ ধরে শৃঙ্খলা কমিটি দলীয় দফতরের বৈঠক করে। সেই বৈঠকের পর বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা শৃঙ্খলামূলক কমিটির শীর্ষ নেতা জহর মজুমদার সাংবাদিকদের এই খবর জানান।

জহরবাবুর কথায়, “শুধু জেলা সভাপতি নয়। ওই পঞ্চায়েত প্রধান দলকেও অসম্মান করেছেন। তাকে প্রধানপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত সদস্যরাই দুর্নীতির অভিযোগ আনেন”।

এদিকে তাঁর বহিষ্কারের খবরে রানা বিশ্বাসের প্রতিক্রিয়া, “সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়টি জানতে পারি। আমি ব্লক সভাপতিকে শো-কজের জবাবও দিয়েছিলাম। দলের আইন শৃঙ্খলা জানি। জেলা নেতৃত্ব কাউকে সাসপেন্ড কর‍তে পারে না। বহিষ্কারের জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে সুপারিশ করতে পারে এবং রাজ্য নেতৃত্ব বহিষ্কার করেন। আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ও অভিষেক ব্যানার্জির অনুপ্রেরণায় দলটা করি। একতরফা বিচার ঠিক হল না”।

ঠিক কী হয়েছিল?

রানা বিশ্বাস শাসক দলেরই এনকেএস গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন দলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইকের বালি মাফিয়াদের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে। তিনি এও দাবি করেন, পাচারকারীদের কাছ থেকে লরি প্রতি ৫০০ কিংবা হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের এনকেএস গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন রয়েছে ১৪টি। গত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস ১৩ এবং বিজেপি ১টি আসন পেয়েছিল। প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন রানা বিশ্বাস। সেই রানা অভিযোগ করেন, “জেলা প্রশাসন সংকোশ নদীর অবৈধ বাঁধ ভেঙে দিয়েছে। আমার উপর অত্যাচার বেড়েছে বালি পাথর পাচারের অবৈধ কারবার বন্ধ হয়ে যাওয়ায়।”

তিনি অভিযোগ করেন, বালির ট্রাক প্রতি ৫০০ টাকা থেকে হাজার টাকা করে পেতেন দলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক। তাঁর বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করলে পাচার কাজের সঙ্গে যুক্তদের থাকতে দেখা যাবে বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি।

যদিও ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কোলেশটিকা বাকলা অভিযোগ করেন, প্রধান রানা বিশ্বাস নিজের খেয়ালে কাজ করতেন। পঞ্চায়েতের অনেক কাজ হয়নি। কিন্তু টাকা উঠেছে। মোট ১২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে এবং তাই তাঁরা প্রধানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এদিকে ১০ জন পঞ্চায়েত সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে হলেও বাকি ২ জন প্রধানের পক্ষে রয়েছেন বলে খবর। এদিকে তৃণমূল জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইকের দাবি, গত ৪ জানুয়ারি পঞ্চায়েত সদস্যরা অভিযোগ করেন প্রধানের বিরুদ্ধে। তার পরেই তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

আরও পড়ুন: Uluberia: নিখোঁজ করোনা আক্রান্ত! ‘স্পেশাল-২৪’- এর খোঁজে ঘুম ছুটেছে প্রশাসনের