Murshidabad: ২১ জুলাইয়ের প্রচারের ‘দায়িত্বে’ গ্রাম পঞ্চায়েত! সরকারি টাকায় কীভাবে দলীয় প্রচার? উঠছে প্রশ্ন

Sagardighi: সাগরদীঘিতে ২১ জুলাই ধর্মতলায় ভিড় টানতে জোরকদমে চলছে দেওয়াল লিখন। আর সেই দেওয়াল লিখনে উল্লেখ করা হয়েছে, সৌজন্যে সাগরদীঘি গ্ৰাম পঞ্চায়েত।

Murshidabad: ২১ জুলাইয়ের প্রচারের ‘দায়িত্বে’ গ্রাম পঞ্চায়েত! সরকারি টাকায় কীভাবে দলীয় প্রচার? উঠছে প্রশ্ন
এই দেওয়াল লিখন ঘিরেই যত বিতর্ক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2022 | 4:15 PM

মুর্শিদাবাদ : ২১ জুলাই। তৃণমূলের শহিদ দিবস। রাজনৈতিকভাবে রাজ্যের শাসক দলের কাছে এই দিনটির তাৎপর্য অপরিসীম। দলের শক্তি প্রদর্শনের দিন এটি। দলের আগামীর পথ চলার নীল নকশা তৈরির দিন। গত দুই বছরে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে খানিক ভাটা পড়েছিল। করোনার কোপে ভার্চুয়ালিই সারতে হয়েছিল ২১ জুলাই। তবে এবার ফের পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। জেলায় জেলায় চলছে প্রচার কর্মসূচি। আর তাতেই যেন মিলে মিশে এক হয়ে যাচ্ছে শাসক দল আর গ্রাম পঞ্চায়েত। সাগরদীঘিতে ২১ জুলাই ধর্মতলায় ভিড় টানতে জোরকদমে চলছে দেওয়াল লিখন। আর সেই দেওয়াল লিখনে উল্লেখ করা হয়েছে, সৌজন্যে সাগরদীঘি গ্ৰাম পঞ্চায়েত। আর এই নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে। কীভাবে দলীয় প্রচার গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

সাগরদীঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা জীতু দাস বলেন, “দেওয়াল লিখনের কাজ চলছে। পার্টি অফিসেও প্রস্তুতি সভা হয়েছে। কীভাবে মানুষ যাবেন, সেই ব্যবস্থা করা নিয়ে হয়েছে। সাগরদীঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে দেওয়াল লিখনের কাজ চলছে ২১ জুলাইয়ের জন্য। পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, বুথ সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি সবার উদ্যোগেই এটি চলছে।” তবে দলীয় কর্মসূচির প্রচার কীভাবে গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তার কোনও যথার্থ উত্তর দিতে পারেননি তিনি।

বিজেপি উত্তর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ এই নিয়ে বলেন, “এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তৃণমূল দল আর পশ্চিমবঙ্গ সরকারে যে কোনও পার্থক্য নেই। গোটা রাজ্যে যেভাবে আইন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। যেভাবে দিনের পর দিন রাজ্যে লুঠ, ধর্ষণ বেড়েই চলেছে, তার একটাই কারণ। সাগরদীঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের সৌজন্যে দলীয় কর্মসূচির প্রচার। এই কারণেই পশ্চিমবঙ্গের বেহাল অবস্থা। ২১ জুলাই পালন করার বিশেষ কারণ রয়েছে। ২১ জুলাই সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর হাতে বহু কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছিলেন। খুন করল সিপিএম। শহিদ হল কংগ্রেস। আর আজ পালন করছেন তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূলের নীতি ও আদর্শ বলে কিছু নেই। তৃণমূল দল ও সরকারের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। সব এক হয়ে গিয়েছে। এটা কাম্য নয়। উনি রাজ্যের সবার মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি টাকায় প্রচার বন্ধ হওয়া উচিত।”