Murshidabad: পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ, শেষে স্কুলের ভিতর ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার পচাগলা দেহ

Death: এদিন স্থানীয় একটি স্কুলের ভিতরে তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে গিয়ে পৌঁছায় সালার থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ ওই ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।

Murshidabad: পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ, শেষে স্কুলের ভিতর ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার পচাগলা দেহ
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2022 | 8:57 PM

মুর্শিদাবাদ: পাঁচদিন নিখোঁজ (Missing) থাকার পর উদ্ধার এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ (Body Recovered)। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) দক্ষিণখণ্ড গ্রামে। ওই গ্রামের একটি স্কুলের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় দেহ। মৃতের নাম হারাধন দে। বয়স বছর সাতান্নর আশপাশে। মৃত ওই ব্যক্তির বাড়ি দক্ষিণখণ্ড গ্রামেই। বিগত পাঁচদিন ধরে তাঁর কোনও খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত এদিন স্থানীয় একটি স্কুলের ভিতরে তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে গিয়ে পৌঁছায় সালার থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ ওই ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। গ্রামবাসীদের একাংশের সন্দেহ ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। যদিও কীভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সালার থানার পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পারিবারিক কোনও বিবাদের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও সমস্যা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। গত সোমবার রাত আটটার পর থেকে ওই ব্যক্তি নিখোঁজ ছিলেন। কিন্তু ওই সময় তাঁর ছেলে বা ছেলের বউ সেখানে ছিলেন না। সেই কারণে নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় কোনও ডায়েরি করা হয়নি বলেই জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে ওই সময়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়েছিল। কিন্তু কোনওভাবেই তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত এদিন স্কুলের ভিতরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

এলাকাবাসীরা বলছেন, এলাকায় যথেষ্ট সুনামও ছিল হারাধনের। সবাই তাঁকে ভাল ছেলে বলেই জানত। তাঁত বুনে সংসার চালাত। সারাক্ষণ সেই কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন তিনি। কিন্তু তারপর কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা ভেবে কূল কিনারা করতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।