স্বাধীনতা দিবসেই ব্লক তৃণমূল সভাপতির গাড়ি লক্ষ্য করে ‘বোমাবাজি’!

Bomb Blast: বোমাবিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। আক্রান্ত তৃণমূল সভাপতি শাহ আলমের অভিযোগ, ব্যক্তিগত কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী।

স্বাধীনতা দিবসেই  ব্লক তৃণমূল সভাপতির গাড়ি লক্ষ্য করে 'বোমাবাজি'!
গাড়িতে বোমাবাজি, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2021 | 9:51 PM

মুর্শিদাবাদ: স্বাধীনতা দিবসে বোমাবাজি।  রানিনগরের ব্লক তৃণমূল (TMC) সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সভাপতি  শাহ আলমের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি। ঘটনায় গুরুতর আহত চালক শত্তার শেখ ও দেহরক্ষী সোহেল রানা। বোমাবিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।

আক্রান্ত তৃণমূল সভাপতি শাহ আলমের অভিযোগ, ব্যক্তিগত কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তৃণমূল সভাপতি। আহত দুজনকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।  অভিযোগ, বিজেপি ও কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। রানিনগরের তৃণমূল বিধায়ক সৌমিক হোসেনের অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। যদিও, বিরোধীরা এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে। বিরোধী শিবিরের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই হামলা।

বিধায়ক সৌমিক হোসেনের কথায়, “বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম একসঙ্গে এই হামলা ঘটিয়েছে। যেহেতু বিধানসভায় পরাজয় ঘটেছে তাই ইচ্ছে করে বোমাবাজি করেছে। রানিনগরের কোতলপুরে এক দুষ্কৃতী এই ঘটনায় যুক্ত। শাহ আলম তৃণমূলের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। নির্বাচনের সময় থেকেই তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা চলছে। রানিনগরে তৃণমূলের জয়ের নেপথ্যে শাহ আলমই ছিলেন। তাই তাঁর উপর এই হামলা।”

ঘটনায় কংগ্রেস নেতা জয়ন্ত দাস বলেন, “জেলায় কংগ্রেসের এমন অবস্থা নেই যে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির উপর হামলা করতে হবে। কারণ, রানিনগরে তৃণমূলের জয় হয়েছে। এত আসনে জয়ী হয়ে নিজেরাই গোষ্ঠীকোন্দলে মত্ত। রোজই ওদের পঞ্চায়েতের কেউ না কেউ কোনও কোনও সদস্যদের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনছে। এই হামলা তৃণমূলের লোকেরাই নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ঘটিয়েছে।” কংগ্রেসের সুরে সুর মিলিয়েছে বিজেপি ও সিপিএম। স্থানীয় বিজেপি ও সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা। এর পেছনে বিরোধীদের কোনও হাত নেই।

উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে  তৃণমূলের তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সৌমিক হোসেন। এই আসনে বিজেপির তরফে ছিলেন মাসুহারা খাতুন। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে কংগ্রেসের ফিরোজা বেগম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২০১১ সাল থেকেই বরাবরই ফরোয়ার্ড ব্লকের ‘গড়’ বলে পরিচিত  রানিনগরে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে কংগ্রেস। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী ফিরোজা বেগম জয়ী হন৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হুমায়ুন কবির। ২০২১-এ অবশেষে রানিনগরে ব্যাপক জয় পায় তৃণমূল। আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: ভিডিয়ো: ‘মুর্দাবাদ পাকিস্তান’, স্বাধীনতা দিবসে স্লোগান দিলেন শুভেন্দু অধিকারী