TMC : কোন্দল কাঁটায় বিদ্ধ তৃণমূল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে গদ্দার বলে কটাক্ষ জেলা তৃণমূল সভাপতির
TMC :এলাকায় তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নুর সালিম বেগমকেই গদ্দার বলে কটাক্ষ করলেন জেলা সভাপতি শাওনী সিংহ রায়। যা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
মুর্শিদাবাদ : বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election)। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সলতে পাকানো। কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে পড়েছেন শাসকদল থেকে শুরু করে বিরোধীদের তাবড় তাবড় নেতা-মন্ত্রীরা। তবে এরইমধ্যে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে লাগাতার উঠে আসছে তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠী কোন্দলের খবর। তাতেই অস্বস্তি বেড়েছে ঘাসফুল শিবিরের। এরইমধ্যে এবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে গাদ্দার বলে কটাক্ষ করতে দেখা গেল জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। যা নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনৈতিক মহলে।
গত ৪ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ ব্লকের গুধিয়া বকুলতলা মোড়ে সভা করেন তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নুর সালিম বেগম থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত প্রধান সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। এলাকায় আবু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নুর সালিম বেগমকে এবার গদ্দার বলে কটাক্ষ করলেন জেলা সভাপতি শাওনী সিংহ রায়। আবু তাহেরের সভার ঠিক ৯ দিনের মাথায় গুধিয়া বকুলতলা মোড়েই সভা করলেন তিনি। এদিনের সভা থেকে শাওনী সিংহ রায় বলেন, “আমি আর লজ্জা দিচ্ছি না। ২০২১ সালের পর রাতের পর রাত আমার বাড়ি গিয়েছ তোমরা। দিদি একটু দেখুন, দিদি একটু দেখুন বলেছিলে। আমি মহিলা তো। বলে নাকি মেয়েদের মন নরম হয়। আমি বলেছিলাম যা করেছিস করেছিস। তোদের ভুল হয়েছে। রাস্তা পরিষ্কার হলেও কোথাও কোথাও ধুলো থাকে। আমার মন পরিষ্কার হলেও কোথাও ধুলো তো আছে। নাহলে কী আর এই গদ্দারদের বিশ্বাস করে বলি, ঠিক আছে, সময় আসুক আমি দেখব! নাহলে কী আর এই গদ্দারদের বিশ্বাস করে কে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হবে তার জন্য লড়াই করেছিলাম।”
প্রসঙ্গত, শাওনি সিংহ রায় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন। সেই সময় তাঁর বিরোধিতা করেছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নুর সালিম বেগম। তারপর একাধিকবার তাঁদের কোন্দলন সামনে এসেছে। একইসঙ্গে গোঁদের উপর বিষফোঁড়ার মতো এই কেন্দ্রে বড় ব্যবধানে জিতে গিয়েছে বিজেপি। তাতেই আরও চাপ বেড়েছে শাসকদলের। এদিকে শাওনি সিংহ রায় জেলা সভাপতি হওয়ার পর তাঁর অনুমাগামীদের বিরুদ্ধে নুর সালিম বেগমের বাড়িতে হামলারও অভিযোগ ওঠে।