Murshidabad: কৃষক বাজারে ধান বিক্রি! রাত-ভর লম্বা লাইন, পুলিশের সঙ্গে বচসা ধ্বস্তাধ্বস্তি!

Police: তবে গতকাল রাত থেকে যেভাবে ভিড় উপচে পড়ছে তা এই করোনা পরিস্থিতির জন্য অত্যন্ত ভয়ানক।

Murshidabad: কৃষক বাজারে ধান বিক্রি! রাত-ভর লম্বা লাইন, পুলিশের সঙ্গে বচসা ধ্বস্তাধ্বস্তি!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2021 | 8:13 AM

মুর্শিদাবাদ: কৃষক বাজারগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়। বেড়েছ ক্রমাগত কৃষকদের লাইন। কৃষক বাজারে ধান বিক্রি করতে গতকাল সন্ধে থেকেই বড়োয়া ডাক বাংলা কৃষক মাণ্ডিতে শুরু হয়েছে সরকারিভাবে ধান কেনা। আর যার জেরে ওই বাজারগুলি রয়েছে লম্বা লাইন।

আজ থেকে শুরু হবে সরকারি ভাবে কৃষক মাণ্ডি গুলিতে ধান কেনা বেচা। কিন্ত গতকাল রাত থেকেই কৃষকরা লাইন দিয়ে রয়েছেন। আসলে খোলা বাজারে ধান বিক্রি করলে সঠিক অর্থ মেলে না। তাই কালোবাজারির হাত থেকে বাঁচতে সরকারি এই মাণ্ডিগুলিই একমাত্র ভরসা কৃষকদের।

তবে গতকাল রাত থেকে যেভাবে ভিড় উপচে পড়ছে তা এই করোনা পরিস্থিতির জন্য অত্যন্ত ভয়ানক। সেই কারণে ভিড় রুখতে ঘটনাস্থানে বড়ঞা থানার পুলিশ এসে কৃষকদের সরিয়ে দিতে যায়। কিন্তু তাঁদের ক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। প্রথমে শুরু হয় বচসা। পরে ধস্তাধস্তি।

এরপর পুলিশ তাদের কৃষক বাজারের বাইরে বের করে দেয়। পরে কৃষক বাজারের বাইরে লাইন দিলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এদিকে, মেদিনীপুরের কৃষক বাজারের সিসিটিভিতে বসানো রয়েছে অত্যাধুনিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। কিন্তু দেখনদারি থাকলেও সেই ক্যামেরার কোনও সংযোগই নেই। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কৃষক বাজারে (Chandrakona Regulated Market) নেই কোনও নিরাপত্তা রক্ষীও। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মোটর বাইক চুরি থেকে দোকানে চুরি। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কৃষক বাজার। চন্দ্রকোণা রেগুলেটেড মার্কেট ও কৃষক বাজারের ব্যবসায়ী থেকে এলাকার বাসিন্দা, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন সকলেরই।

মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের চন্দ্রকোণা পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা রেগুলেটেড মার্কেট। এই বাজার জেলার সবচেয়ে বড় বাজার বলেই পরিচিত। ২০১৪ সালেই রেগুলেটেড মার্কেট চত্বরে গড়ে তোলা হয় কৃষক বাজার। ঢেলে তা সাজানোও হয়। শুধু বাজারই নয়, সংলগ্ন এলাকাও বেশ ঝাঁ চকচকে করে তোলা হয়। সবজি বাজারের একাধিক ছাউনি, বিভিন্ন দোকানের পাশাপাশি নতুন কৃষক বাজারের অধীনে গড়ে ওঠে ৮৪ টি স্টল। সঙ্গে একাধিক গুদাম ঘর থেকে খুচরো ও পাইকারি সবজি বিক্রেতাদের জন্যও ঢালাও ব্যবস্থা।

ইতিমধ্যে বেশ কিছু স্টলে রকমারি দোকান করে ব্যবসাও শুরু করেছেন অনেকেই। কিন্তু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এতবড় কৃষক বাজার চত্বরে নেই কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। বিশেষ করে সন্ধ্যা নামলে তাঁদের দোকানের চারদিক অন্ধকার থাকে। বিকল বিদ্যুতের আলোও। আর এতেই দিন দিন বেড়ে চলেছে নেশার আসর। বাজারচত্বরেই নিয়মিত মদের বোতল পড়ে থাকে বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: Sundorbon: সবে মাত্র চোখ লেগে এসেছিল, আচমকাই মাথার ওপর পড়ল এসে থাবা! সুন্দরবনের জঙ্গলে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা