Murshidabad: অপারেশন কক্ষেই লেগে গেল ধুন্ধুমার লড়াই! ভয়ে থরহরিকম্প রোগীরা
Kandi: সোমবার বিকাল। হঠাৎই কান্দি হাসপাতালের মধ্যে তীব্র চিৎকার চেঁচামেচির স্বর। একে অন্যকে ধমক। চলছে মারধর-ও। ভয় পেয়ে যান রোগীরা। নার্সরাও তখন অবাক। সে এক বিশ্রি পরিস্থিতি। কিন্তু কী নিয়ে এমন হল্লা?
মুর্শিদাবাদ: হাসপাতালের (Hospital) মধ্য়েই হাতাহাতি, একে অপরকে তেড়ে গেল দুই পক্ষ। চিলচিৎকার, গালাগালি, মারধরে হাসপাতাল যেন রণক্ষেত্র। ভয়ে সিঁধিয়ে যাচ্ছেন রোগীরা। কিন্তু লড়াই চলছে। ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি মহকুমা হাসপাতাল।
সোমবার বিকাল। হঠাৎই কান্দি হাসপাতালের মধ্যে তীব্র চিৎকার চেঁচামেচির স্বর। একে অন্যকে ধমক। চলছে মারধর-ও। ভয় পেয়ে যান রোগীরা। নার্সরাও তখন অবাক। সে এক বিশ্রি পরিস্থিতি। কিন্তু কী নিয়ে এমন হল্লা?
জানা গিয়েছে, এদিন মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা থানার অন্তর্গত কান্দি কুলি রাজ্যে সড়কের উপর কুমরাই বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি মোটর বাইক ও টোটোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে জেরে জখম হন কমপক্ষে ৫ জন। আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু সেই চিকিৎসা চলার সময় বিড়ম্বনায় চিকিৎসক থেকে হাসপাতাল কর্মীরা। হাসপাতালের অপারেশন কক্ষেই মোটরবাইকওয়ালা আর দুর্ঘটনায় আহত টোটোর যাত্রীদের তরফে হাজির হওয়া পরিচিতদের মধ্যে বেধে যায় বচসা। চেষ্টা করেও কাউকেই শান্ত করা যায়নি। উপরন্তু সেই বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। প্রবল চিৎকার, হাতাহাতিতে তখন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অন্য রোগীরা ও তাঁদের পরিবারের লোকজন। কিন্তু দুই পক্ষের ঝামেলা সহজে থামেনি। শেষে ছুটে আসতে হয় বিশাল পুলিশ বাহিনীকে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, দুর্ঘটনায় আহত পাঁচজনের নাম আল্লারাখি বিবি (৬০)। তাঁর বাড়ি কুমরায়। এছাড়া আহত হয়েছেন জশহরির বাসিন্দা বছরের ঊনিশের মাসুদার রহমান, কুমরার বাসিন্দা ৪৫ বছরের মাসেদ মল্লিক, ৪৪ বছর বয়সী সাবের আলি ও জশহরির আরেক বাসিন্দা আবু জাহির (১৭)। বর্তমানে সকলেই এখন কান্দি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে হাসপাতাল চত্বরেই আহতদের দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা শুরু হয়ে যায়। কার দোষে দুর্ঘটনা, এ নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিচের তলে পুরুষ শল্য বিভাগ। সেখানেই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে। কীভাবে হাসপাতালের ভিতর এত লোকজন ঢুকে গেলেন, সেই প্রশ্ন যেমন উঠেছে, তেমনই দুর্ঘটনার পর পুলিশ কেন ছিল না হাসপাতাল চত্বরে সেই নিয়ে কেউ কেউ অভিযোগ করছেন। এই হাতাহাতির ঘটনায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সামাল দিতে না পেরে খবর দেয় পুলিশে। তবে বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর কান্দি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে তৎপর হয়।
আরও পড়ুন: Post Poll Violence: ফের কাঁকুড়গাছিতে অভিজিত্-হত্যা মামলায় তল্লাশি সিবিআইয়ের, পলাতক ৪ অভিযুক্ত