Question Paper Viral: রসায়নের পর এবার জীববিদ্যার প্রশ্নপত্র ভাইরাল, ‘ফাঁস’ করছে কারা?
Question Paper Viral: মিলে গিয়েছিল রসায়নের প্রশ্নপত্র। এবার জীববিদ্যাতেও একই অভিযোগ উঠছে।
মুর্শিদাবাদ: সোশ্যাল মিডিয়ায় এবার ভাইরাল বায়োলজি বা জীববিদ্যার প্রশ্নপত্র। একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার আগেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই প্রশ্নপত্র। যদিও এই প্রশ্ন আসল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মিলছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মঙ্গলবার পরীক্ষা শুরুর প্রায় তিন ঘণ্টা আগে থেকেই রসায়ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। সেই প্রশ্নপত্র মিলে যায় আসল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে। আর এরপরই রাত থেকেই ভাইরাল হয়ে যায় বায়োলজি বিভাগের প্রশ্নপত্র। মুর্শিদাবাদ জেলায় অনেকের কাছেই হোয়াটসঅ্যাপে পৌঁছেছে সেই প্রশ্নপত্র।
প্রাইভেট টিউটর অ্যাসোসিয়েশনের মুর্শিদাবাদের পদাধিকারীরা বলছেন, মঙ্গলবার ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্র মিলে গিয়েছিল, এটাও সম্ভবত মিলে যাবে। স্কুল শিক্ষকদের একাংশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ ওই সংগঠনের। কীভাবে কাউন্সিল-এর তৈরি করা প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে, তা খতিয়ে দেখার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। তবে এই প্রশ্নপত্র যদি আবারও হুবহু মিলে যায় তাহলে এর সঙ্গে কোনও একটা বড় চক্র যুক্ত থাকতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। TV9 বাংলা ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রের সত্যতা যাচাই করেনি।
প্রাইভেট টিউটর অ্যাসোসিয়েশনের মুর্শিদাবাদ শাখার ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট বিভাস মণ্ডল জানান, শুধুমাত্র কাউন্সিলের পরীক্ষাই নয়, স্কুলের প্রায় সব পরীক্ষার ক্ষেত্রেই একই ভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়। তাঁর দাবি, জেলার প্রায় সব স্কুলের যে সব শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনের সঙ্গে যুক্ত তাঁরাই এই ধরনের কাজ করে থাকেন। সংগঠনের আরও দাবি, ওই সব শিক্ষকদের টিউশন পেতে যাতে সুবিধা হয়, সেই কারণেই এই কাজ করে থাকেন তাঁরা। ব্যবসায়িক কারণে এমনটা করা হচ্ছে বলে দাবি সংগঠনের সদস্যদের। তাঁরা মনে করছেন, প্রশ্নপত্র পেয়ে আগে থেকে পড়ুয়াদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে ভবিষ্য়তে পড়ুয়ারা ওই সব শিক্ষকের দ্বারস্থ হন। এই বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কাছে কোনও খবর নেই বলেই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনও খবর সংসদে এসে জমা পড়েনি। শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, “একাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রে কেবলমাত্র প্রশ্নপত্র তৈরি করা এবং তা বিতরণ করার দায়িত্ব থাকে সংসদের। সেখানে কোনও সমস্যা হয়নি। যদি তেমন হত, তাহলে উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও এই ধরনের প্রশ্ন ফাঁস হতে পারত। যেহেতু উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে কোনও প্রশ্ন ফাঁস হয়নি, তাই প্রশ্নপত্র বিতরণের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয়নি।”