Murshidabad: আতঙ্কে সামশেরগঞ্জ! গঙ্গা গিলছে একের পর এক জমি-বাড়ি

Landslide: প্রচণ্ড ভাঙন হওয়ায় এলকার মানুষ এখনও আতঙ্কে রয়েছেন।

Murshidabad: আতঙ্কে সামশেরগঞ্জ! গঙ্গা গিলছে একের পর এক জমি-বাড়ি
গঙ্গাভাঙন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 19, 2021 | 7:06 AM

মুর্শিদাবাদ: অপ্রতিরোধ্য গঙ্গা ভাঙন। কিছুতেই যেন থামানো যাচ্ছে না। গঙ্গা গিলেই চলেছে একের পর এক বাড়ি। নদীগর্ভে আশ্রয় দিচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে যেন সব কিছু। রাজ্যে যেদিন থেকে বর্ষকাল প্রবেশ করেছে সেইদিন থেকে যেন ক্রমাগত বেড়েছে নদীর তেজ। তার উপর এখন সঙ্গী হয়েছে নিম্নচাপ। দুর্যোগের ঘনঘটা যেন কিছুতেই কাটতে চাইছে না বাঙলায়। একের পর এক নিম্নচাপ সঙ্গী হয়েছে রাজ্যের। বেড়েছে বৃষ্টি। যার জেরে নদীতেও বেড়েছে জল।

গঙ্গা ভাঙনে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মালদা (Malda), মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায়। একের পর গ্রামের চাষের জমি চলে গিয়েছে নদী বক্ষে। সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন বহু মানুষ। এরপরও রক্ষে নেই। ক্ষিদে যেন মিটছেই না নদীর। রবিবারও সন্ধে নাগাদ মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভাঙন শুরু হয়। প্রচণ্ড ভাঙন হওয়ায় এলকার মানুষ এখনও আতঙ্কে রয়েছেন। বারবার তারা প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন যেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়। কারণ এই ভাঙন ঠিকমতো প্রতিরোধ করা না হলে ঘর-বাড়ি জমি সব গঙ্গায় তলিয়ে যেতে শুরু করবে। নিঃস্ব হয়ে যাবেন তাঁরা।

শনিবার রাতেও একই ছবি ছিল জেলায়। নতুন করে গঙ্গার গর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল ৮টি বাড়ি। সামশেরগঞ্জ ব্লকের ধুলিয়ান পৌরসভার ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের লালপুর গ্রামে প্রায় এক মাস থেকে অব্যাহত রয়েছে এই ভাঙন। ফলে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে সামশেরগঞ্জের শিবপুর এলাকায়। আতঙ্ক ছড়িয়েছে পার্শ্ববর্তী ধানঘরা হিরানন্দপুর এলাকাতেও।

ইতিমধ্যে অভিযোগের আঙুল উঠেছে প্রশাসনের দিকে। লালপুর এলাকার স্থানীয়রা জানাচ্ছেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়াই হয়নি গঙ্গার পাড় বাঁধানোর। প্রায় এক মাস ধরে গঙ্গা ভাঙন চলছে কিন্তু কোনও সরকারি সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পাননি। দ্রুত পাড় বাঁধানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন,”আমাদের বাড়ি তলিয়ে যাচ্ছে। জমি তলিয়ে যাচ্ছে। বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ বানিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্ত তাও কতটা চলবে জানিনা। সরকারের কাছে আর্জি দ্রুত বাঁধ তৈরি হোক। যাতে সন্তান নিয়ে আমরা নিরাপদে থাকতে পারি।” এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে প্রায় আটটি বাড়ি। তলিয়ে গিয়েছে রাস্তা। প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে মালদায় গঙ্গার তীব্র ভাঙনে বালুটোলা গ্রাম প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। ৫০০-র বেশি পরিবার গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছিলেন প্রায় ৭০ মতো পরিবার। কিছুদিন আগে সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন গোপালপুরের ভাঙন পরিস্থিতি দেখে যান। কিন্তু  গৃহহারাদের পুনর্বাসন বা ত্রাণের কোনও ব্যবস্থাও করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সবচেয়ে করুণ অবস্থা হয় গোপালপুরের। দিনের পর দিন চোখের সামনে সর্বস্ব নদী গর্ভে তলিয়ে যেতে দেখে ক্ষোভে ফুঁসছেন গোপালপুরের বাসিন্দারা। বিক্ষোভে সামিল হন দেখান দুর্গতরা। কাজ শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিলে তাঁরা।

আরও পড়ুন: Covaxin: ‘আমরা জানি অনেকেই অপেক্ষায় আছেন, কিন্তু…’, কোভ্যাক্সিনে ছাড়পত্র দিতে কেন এত দেরি?