Sagardighi Bye Election: ৬৪ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটারের সাগরদিঘিতে শাসকের ‘অঘটন’, কেন?

Sagardighi: সাগরদিঘির ভোটে ৬৪ শতাংশের সংখ্যালঘু ভোটারদের একটি বড় অংশের রায় যে শাসকের দিকে হেলেনি, তা নির্বাচনী ফলাফল থেকেই অনুমান করা যায়।

Sagardighi Bye Election: ৬৪ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটারের সাগরদিঘিতে শাসকের 'অঘটন', কেন?
সাগরদিঘিতে জোটের জয়জয়াকার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 02, 2023 | 7:09 PM

সাগরদিঘি: পালাবদলের পর থেকে এই প্রথম ‘অঘটন’ সাগরদিঘিতে (Sagardighi Bye Election)। ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা তিনটি বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে জোড়াফুল ফুটেছিল। টানা তিনবারের জয়ের হ্যাটট্রিক। তবে এ বার সেখানেই বদলে গেল সব হিসেবনিকেশ। পাটিগণিতের হিসেব কষলে দেখা যাবে, সাগরদিঘির লড়াইয়ের মঞ্চ তৃণমূলের জন্য খুব একটা কঠিন হওয়ার ছিল না। প্রায় ৬৪ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার। আর এই সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক স্বাভাবিকভাবেই সাগরদিঘিতে একটি বড় ফ্যাক্টর। রাজ্য রাজনীতিতে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের একটি বড় অংশ শাসকের দিকেই হেলে রয়েছে। কিন্তু সেই সাগরদিঘির ভোটে ৬৪ শতাংশের সংখ্যালঘু ভোটারদের একটি বড় অংশের রায় যে শাসকের দিকে হেলেনি, তা নির্বাচনী ফলাফল থেকেই অনুমান করা যায়।

কিন্তু কেন হঠাৎ করে এমন উলটপুরাণ দেখা গেল সাগরদিঘিতে? সংখ্যালঘু ভোটারদের একাংশ কি মুখ ঘুরিয়ে নিতে শুরু করেছে শাসক দলের দিক থেকে? প্রশ্নটা উঠছে, কারণ সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা পরম্পরায় রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গিয়েছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারি পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘুদের একাংশ জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, পথ অবরোধ করেছেন। গ্রেফতারির দীর্ঘ ৪০ দিন পরে আজ জামিন পেয়েছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।

প্রসঙ্গত, নওশাদ সিদ্দিকি কেবল একজন রাজনীতিক বা বিধায়কই নন, তিনি ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা পরিবারের একজন। নওশাদ গ্রেফতারি পরবর্তী সময়ে, তাঁর সঙ্গে বিজেপির আঁতাতের তত্ত্ব উস্কে দিয়েছে তৃণমূল শিবির। সাংবাদিক বৈঠক করে আক্রমণ শানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। নওশাদ ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলের সাম্প্রতিক যে অবস্থান দেখা গিয়েছে, তারই কি কোনও প্রভাব দেখা গেল সাগরদিঘির উপনির্বাচনে? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে।

শুধু নওশাদ সিদ্দিকির ইস্যুই নয়, অতীতে আমতার ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যু ঘিরেও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আনিসের কীভাবে মৃত্যু হল, সেদিন রাতে পুলিশের উর্দি গায়ে কারা এসেছিল, সেই সব নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যেই বিষয়টিকে রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করতে সফল হয়েছিল বাম নেতৃত্ব। কলকাতার রাজপথে নেমেছিলেন বাম ছাত্র-যুবরা। সম্প্রতি আনিসের মৃত্যু ইস্যু এবং অন্যান্য সাম্প্রতিক ইস্যুকে হাতিয়ার করে ধর্মতলায় ইনসাফ সভার ডাক দিয়েছিলেন মীনাক্ষিরা। সেখানেও উপচে পড়েছিল ভিড়। তাহলে কি সেই সবের একটি প্রচ্ছন্ন প্রভাব দেখা গেল সাগরদিঘির ভোটে? পঞ্চায়েতের বড় লড়াইয়ের আগে সাগরদিঘির উপনির্বাচন এমন বেশ কিছু প্রশ্ন ছেড়ে দিয়ে গেল শাসক দলের জন্য। অন্তত এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক কারবারিরা।