Idris Ali: বিডিও-র চেয়ারে বসেই অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূল বিধায়ক ইন্দ্রিশ আলি, ‘অনুচিত কাজ’ বললেন কুণাল
Murshidabad: ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা দুই নম্বর ব্লকের। সোমবার মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভগবানগোলা: কখনও জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি, কখনও চোখ উপড়ে নেওয়ার হুমকি, বেলাগাম মন্তব্যের জেরে বারবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ইন্দ্রিশ আলি। ফের একবার বিতর্কে জড়ালেন ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক। এবার বিডিও অফিসেই দলের বৈঠক সারলেন তিনি। শুধু কী তাই! একেবারে বিডিও-র চেয়ারে বসেই ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন তিনি এমনটাই অভিযোগ। জানাজানি হতেই তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। যদিও ইন্দ্রিশের সাফাই বিডিও-র অনুমতি নিয়েই এই কাজ করেছেন তিনি।
ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা দুই নম্বর ব্লকের। সোমবার মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে যোগ দিতে বিডিও অফিসের পরিকাঠামো ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ইন্দ্রিশ আলি বিডিও-র চেয়ারে বসেই ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন বলে অভিযোগ। যদিও, ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক।
ইন্দ্রিশ বলেন, “আমি বিডিও সাহেবের চেয়ারে আমি বসিনি। বিডিও সাহেব আমায় সম্মান করেন। যে পোস্ট করেছে সে দলের কর্মী হলেও লোকে তাঁকে মানে না। ও দালালি করে, তোলা তোলে। আসলে বিডিও-র উপরে ওর রাগ রয়েছে।” বিষয়টি নাকি প্রথমে জানতেন না বলে যুক্তি দেন ভগবানগোলার বিডিও ওয়াশিদ খান। তিনি ফোনে টিভি ৯ বাংলাকে জানান, “ইন্দ্রিশ আলি আমায় বলেছিলেন যে ওনার কাছে প্রযুক্তি নেই ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেওয়ার ওনারা একটা বৈঠক করবেন। আমি কি ব্যবস্থা করে দেব? বিধায়ক মাঝে মধ্যে যখন আসেন আমি ওনাকে মূলত আমার চেম্বারেই বসাই। পরে শুনলাম দলীয় মিটিং ছিল। কী বলব। বুঝতে পারছি এটা আমার ভুল হয়েছে (হেসে)।”
তৃণমূল বিধায়ক ইন্দ্রিশ আলির কান্ড-কারখানায় সরব বিরোধীরা। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য ব্যাঙ্গ করে বলেন, “উনি প্রান্তিক অঞ্চলের বিধায়ক। সরল মনে, স্বচ্ছতার সঙ্গে, দৃঢ়তার সঙ্গে বিডিও অফিসে পৌঁছে দলীয় মিটিং করে ঠিক করেছেন। এটা নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন করছেন তাঁরাই চক্রান্ত করছেন।” কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, “তৃণমূলের বিধায়ক বিডিও-র চেয়ারে বসে দলের নেতার সঙ্গে ভোট নিয়ে আলোচনা করছেন। সেখানে বলা হচ্ছে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। তাহলে আগামী দিনে বোঝাই যাচ্ছে রাজ্যে নির্বিঘ্নে ঠিক কতটা নির্বাচন হবে।” তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল গোষ বলেন, “রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিডিও-র চেয়ারে বসে এই ধরনের কাজ করে থাকেন তাহলে খুবই অনুচিত। কিন্তু কী হয়েছে, না হয়েছে আমরা খবর নিতে বলেছি।”