Laxmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভান্ডার না পাওয়ার অভিযোগ সাগরদিঘিতে, ‘প্রতিহিংসা’ বলছে বিরোধীরা

Murshidabad: এলাকার বেশ কয়েকজন মহিলার দাবি, ভোট হওয়ার পর থেকেই তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাননি।

Laxmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভান্ডার না পাওয়ার অভিযোগ সাগরদিঘিতে, 'প্রতিহিংসা' বলছে বিরোধীরা
সাগরদিঘিতে নয়া অভিযোগ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 07, 2023 | 6:04 PM

মুর্শিদাবাদ: সাগরদিঘি (Sagardighi) উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এখনও রাজনৈতিক চাপানউতর চলে। শাসকদলের হার এবং কংগ্রেসের একেবারে নতুন মুখ বায়রন বিশ্বাসের (Bairon Biswas) জয়, অক্সিজেন জুগিয়েছে বিরোধীদের। এরইমধ্যে সেখানে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল লক্ষ্মীর ভান্ডার (Laxmir Bhandar) প্রকল্প নিয়ে। ২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদলের পর থেকেই সাগরদিঘির এই আসনে তৃণমূলের দখল। টানা তিনবারের বিধায়ক সুব্রত সাহার মৃত্যুতে সম্প্রতি সেখানে উপনির্বাচন হয়। সেখানে তৃণমূলের কাছ থেকে বাম-কংগ্রেস জোট ছিনিয়ে নেয় এই আসন। এহেন সাগরদিঘিতে লক্ষ্মীর ভান্ডার না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ব্লকের একাধিক মহিলা। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ জেলার প্রায় সবক’টি ব্লকের মহিলারা পেয়েছেন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা। অভিযোগ, সাগরদিঘি ব্লকের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে সম্প্রতি লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পড়েনি। এই ঘটনায় রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা।

এলাকার বেশ কয়েকজন মহিলার দাবি, ভোট হওয়ার পর থেকেই তাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাননি। এদিকে এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের বক্তব্য, শুধু লক্ষ্মীর ভান্ডার নয়, অন্য প্রকল্পের সুবিধার থেকেও বঞ্চনা করা হচ্ছে সাগরদিঘির মানুষকে। বায়রনের কথায়, “যেসব জায়গায় শাসকদল হেরেছে, তাই প্রতিহিংসায় সরকারি সুবিধা থেকে মানুষকে বঞ্চিত রাখছে।”

এ নিয়ে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের বক্তব্য, “আসানসোল দক্ষিণেও তো দেখছি। যে বুথে বিজেপি জিতেছে, সেখানে রাস্তা হবে না, জল পাবে না, রাস্তার আলো ঠিক হবে না।” যদিও বিরোধীদের এইসব অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

কুণাল ঘোষের কথায়, “এসব কথার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। যারা বিজেপি করে, সিপিএম করে, যারা কংগ্রেস করে তারা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সুবিধা পায় না? আমি তো কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিছিল দেখলাম। মিছিলে ২-৩ জন লাল পতাকা নিয়ে সাইকেলে যাচ্ছে। সাইকেলটা সবুজ সাথীর। তার ছেলে বা মেয়ে হয়ত পড়ুয়া, তাকে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিরোধী দল বলে সরকারি সুবিধা পায় না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এভাবে চলে না।”

অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা প্রশাসনও। সাগরদিঘির বিডিও সঞ্জয় শিকদার বলেন, “এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। যদি অভিযোগ আসে আমরা তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাব। এটা রাজ্যের তরফে সরাসরি উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। তাই আমাদের সরাসরি সুযোগ থাকে না জানার কার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। হয়ত কিছুদিন দেরি হতে পারে। যদি আমরা নির্দিষ্ট অভিযোগ পাই, বিষয়টি খতিয়ে দেখব।”