Student Missing: ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় স্কুলে আটকে ছাত্রী, অসুস্থ হয়ে পড়ে ছিল ক্লাসরুমে! চাঞ্চল্যকর ঘটনা মুর্শিদাবাদে

Murshidabad: এরইমধ্যে ওই স্কুলের একদল নির্মাণ শ্রমিক ওই ছাত্রীকে দেখতে পায়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, একটি ঘরের ভিতরে ছিল ওই ছাত্রী। ঘরের দরজা খুলতেই তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন রাজমিস্ত্রিরা।

Student Missing:  ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় স্কুলে আটকে ছাত্রী, অসুস্থ হয়ে পড়ে ছিল ক্লাসরুমে! চাঞ্চল্যকর ঘটনা মুর্শিদাবাদে
লালবাগ হাসপাতালে ভর্তি ওই ছাত্রী। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2022 | 11:52 PM

মুর্শিদাবাদ: ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় স্কুলে আটকে দশম শ্রেণির ছাত্রী। মুর্শিদাবাদের লালবাগের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী শনিবার থেকে স্কুলেই আটকে ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার তার পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার পর স্কুলের তিনতলায় আটকে পড়ে। তাকে রবিবার সন্ধ্যার পর উদ্ধার করা হয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় রাজমিস্ত্রিরা তাকে উদ্ধার করে। পরিবারের অভিযোগের আঙুল স্কুলের গেটম্যানের দিকে। শনিবার বেলা ২টো পর্যন্ত পরীক্ষা চলছিল ওই স্কুলে। এরপর দীর্ঘ সময় মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় বাড়ির লোকজন স্কুলে ছুটে আসেন। সেই সময় দ্বাররক্ষী যিনি ছিলেন তিনি স্কুলে খুঁজে দেখেন। জানান, কোথাও ওই ছাত্রী নেই।

এরপরই ওই ছাত্রীর আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, টিউশনের স্যরের বাড়ি খোঁজ করেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু কোথাও মেলেনি ওই কিশোরী। এরপর মুর্শিদাবাদ থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ জানান বাড়ির লোকেরা। পরিবারের অভিযোগ, বারবার বলা হলেও বাড়ির লোকের কথায় গুরুত্ব দেননি স্কুলের নিরাপত্তারক্ষী। রবিবারও খোঁজ চলে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা কোনও খবর পাওয়া যায়নি মেয়েটির।

এরইমধ্যে ওই স্কুলের একদল নির্মাণ শ্রমিক ওই ছাত্রীকে দেখতে পান। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, একটি ঘরের ভিতরে ছিল ওই ছাত্রী। ঘরের দরজা খুলতেই তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন রাজমিস্ত্রিরা। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় থানায়। বাড়ির লোকজনও ছুটে আসেন স্কুলে। উদ্ধার করে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে। এতবড় ঘটনায় স্কুলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই গাফিলতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। যেহেতু সন্ধ্যা গড়িয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের কারও সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা যায়নি।

ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, “আমার মেয়ে গার্লস স্কুলে পড়ে। পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। ২টোর সময় ছুটি হওয়ার কথা। আমরা আড়াইটে তিনটে অবধি দেখলাম মেয়ে এল না। স্কুলে গিয়ে দেখি ও নেই। শিক্ষিকাদের বললাম। খোঁজ করে দেখুন। বললাম সবটা। ওনারাই স্কুলের যিনি দ্বাররক্ষী তাঁকে বললেন খুঁজে দেখতে। উনি দেখেও এলেন। বললেন, কোথাও নেই। শনিবার যদি আমি তাঁর সঙ্গে যেতাম, ভাল হত। আজ মেয়েকে পাওয়ার পর উনি বলছেন তিনতলাটা দেখেননি।”