Murshidabad: কাটমানি দিয়েও চাকরি পাচ্ছেন না, বিডিওকে ঘিরে বিক্ষোভ মহিলাদের
TMC: প্রায় শতাধিক মহিলা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
মুর্শিদাবাদ: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন বিডিও। এদিকে, তাদের অভিযোগ কাটমানি দেওয়ার পরও মিলছে না কাজ। যার কারণে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা।
ঘটনাস্থান মুর্শিদাবাদের সুতি। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরকে কোনও কাজ না দিয়ে বাইরের মানুষদের কাজ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সুতির ২ নং ব্লকের বিডিয়ো সমীরণ কৃষ্ণ মণ্ডল ও স্কুল ইনস্পেক্টর এস আই অফিসে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন ওই সকল মহিলারা। তারা বিডিওকে আটকে বিক্ষোভ দেখায়। প্রায় শতাধিক মহিলা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
ওই সকল মহিলাদের অভিযোগ, কাজ দেওয়ার জন্য আধিকারিকেরা তাদের কাছে মোটা অর্থ নিয়েছে। তার পরেও কাজ দেওয়া হচ্ছে না। এক অভিযোগকারী বলেন, ” আমরা ২০১৬ সাল থেকে ইউনিফর্মের জন্য কাজ করে আসছি। হঠাৎ করে বিডিও সাহেব আমাদের রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন যে আমরা নাকি কোনও কাজই করিনি। আমরা যে কাজ করেছি তার সমস্ত প্রমাণ আছে। যার কাছ থেকে আমরা কাপড় কিনে আনি সেই রসিদও রয়েছে। টাকা পয়সা লেনদেনের রসিদও আছে। এখন বিডিও সাহেব বলছেন তোমাদের যদি পোশাকে কাজ পেতে হয় তাহলে গতবারের কমিশন অর্থাৎ প্রতি মাথা পিছু ১০০টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ ৪০ লক্ষ টাকা। আমরা প্রত্যেকে আলোচনা করলাম। ঠিক করে বিডিয়ো সাহেবকে বললাম যে স্যার টাকাটা নিয়ে আমাদের কাজটা দিন। এরপর গান্ধী জয়ন্তির দিন আমরা কাজে এসে দেখি কাজ করছেন অন্যলোক। কেন আমাদের কাজে নেওয়া হবে না? সেই কারণেই আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, কাটমানি হোক বা শাসকদলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব একাধিকবার খবরে উঠেছে এই জেলার নাম। দুদিন আগেই দলের কর্মীদের হাতেই মার খেতে হল রাজ্যের মন্ত্রীকে। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে আহত হলেন উদ্যান পালন মন্ত্রী সুব্রত সাহা ও বড়ঞার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা। এখানেই শেষ নয়। পাশাপাশি তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ।
গত ২১ নভেম্বর একটি চারচাকা গড়িতে করে কলকাতা (Kolkata) থেকে মুর্শিদাবাদ ফিরছিলেন একই পরিবারের ১১ জন সদস্য। র্ধমান কাটোয়া রোডের কামনাড়া এলাকায় তাদের গাড়ি একটি ডাম্পারে ধাক্কা মারে। এরপরই শেষ হয়ে যায় সবকিছু। ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় পাঁচজনের। মর্মান্তিক এই ঘটনার খবর পৌঁছায় স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে। সঙ্গে-সঙ্গে তিনি নির্দেশ বড়ঞার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকে নির্দেশ দেন যাতে ওই পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায় তাঁরা। ঠিক সেই কথামতোই হল কাজ। ওইদিনই এলাকায় পৌঁছায় জীবন কৃষ্ণবাবু। সেই মুহুর্তে পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করেন তিনি।
এতদূর পর্যন্ত প্রায় সব ঠিকঠাক চলছিল। সমস্যার সূত্রপাত হল আজ। বিকেল নাগাদ ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান উদ্যান পালন মন্ত্রী সুব্রত সাহা ও বড়ঞার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা। অভিযোগ,সেই সময় অতর্কিতে তাঁদের উপর হামলা চালায় যুব তৃণমূল সভাপতি মায়ের আলম ও ব্লক সভাপতি গোলাম মুর্শেদ ও তার দলবল। গাড়ি ভাঙচুর করা হয় মন্ত্রী ও বিধায়কের। সঙ্গে মারধর করারও অভিযোগ উঠছে তাদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: Afghanistan Blast: নমাজ শুরু করতেই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মসজিদ, মৃত কমপক্ষে ৩