Fraud in Nadia: চাকরির টোপ দিয়ে লাখ লাখ টাকা? বিস্ফোরক অভিযোগ বিধায়ক ও তাঁর ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে

Rukbanur Rahman: চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাঁরা এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও।

Fraud in Nadia: চাকরির টোপ দিয়ে লাখ লাখ টাকা? বিস্ফোরক অভিযোগ বিধায়ক ও তাঁর ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে
বিধায়ক রুকবানুর রহমান ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সুখদেব ব্রহ্ম
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 15, 2022 | 4:27 PM

নদিয়া : রাজ্যে নিয়োগের ক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতি এবং বেনিয়মের অভিযোগ উঠছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগও প্রকাশ্যে এসেছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও এক ঘটনা। নাম জড়াল আরও এক বিধায়কের। এইবার চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমান এবং তাঁর ছায়া সঙ্গীর বিরুদ্ধে। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাঁরা এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও।

চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৬ সালে উচ্চপ্রাথমিকের চাকরির পরীক্ষায় আবেদনকারীদের থেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ৬ লাখ টাকা করে টাকা নিয়েছেন চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমান এবং তাঁর সহযোগী সুকদেব ব্রহ্ম। যদিও অভিযোগকারীদের বক্তব্য, ওই টাকা সরাসরি নেননি রুকবানুর রহমান। তাঁর অনুগত সুখদেব ব্রহ্মও ওই টাকা নিয়ে গিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের থেকে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল সদস্য জামশেদ আলি মণ্ডলের দাবি, তাঁর পরিবারের এক সদস্যের জন্য চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন। ওই পঞ্চায়েতের মোট পাঁচ জনের থেকে সব মিলিয়ে ২৪ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিধায়ক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে। একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও চাকরি না টাকা ফেরত কোনটাই তাঁদের দেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখিতভাবে ওই বিষয়ে জানিয়েছেন।

চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, বিগত দিনে তাঁরা কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সদস্য জয়ন্ত সাহার কাছেও এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও কোনও সুরাহা না হওয়ায় পরবর্তীতে তাঁরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সরাসরি চিঠি লিখলেন। যদিও, এই অভিযোগের বিষয়টি চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন বিধায়ক ঘনিষ্ঠ সুখদেব ব্রহ্ম। তিনি বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনওরকম যোগ নেই। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমরা এর সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত নই। এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্ত। বিধায়ক এবং আমাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এই চক্রান্ত করা হচ্ছে।” এমনকী যাঁরা অভিযোগ করছেন তাঁদের সুখদেব ব্রহ্ম চেনেন না বলেও জানিয়েছেন।

চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমান এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “কে কী অভিযোগ করেছেন, সেই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। ২০২১ -এর নির্বাচনে অনেকেই চক্রান্ত করেছিল আমাদের দলকে হারানোর জন্য। এই চক্রান্তের ভিত্তিতে কে কার থেকে কী টাকা নিয়েছে, তা আমরা জানি না। কোনও অভিযোগ থাকলে কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে যেতেই পারেন। আমাকে ডেকে পাঠানো হলে, আমি নিশ্চয়ই উত্তর দেব।”

তবে যাঁরা চাকরির জন্য টাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করছেন, তারাই বা কেন টাকা দিয়েছিলেন? সেই প্রশ্নও ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। কারণ, যে অভিযোগ তাঁরা করছেন বিধায়ক এবং তাঁর ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে, সেক্ষেত্রে চাকরি পাওয়ার জন্য টাকা দেওয়া বা এক কথায় ঘুষ দেওয়ার বিষয়টিও একইরকমভাবে গুরুতর অভিযোগ। এই বিষয়ে চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন করা হলে, তাঁরা বলেন, “অবশ্যই বিষয়টি অপরাধ। তবে এখন আমাদের মধ্যে বসে একটি বোঝাপড়া হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে আমরা আর কিছু বলতে চাই না এখন।”