Gold Seized: বাংলাদেশ থেকে বেড়া টপকে ‘এল’ মোবাইল ফোন, সোনার বিস্কুট…
Nadia: ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে বান্ডিল থেকে ৮টি সোনার বিস্কুট ও একটি কিপ্যাড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম গৌতম রাই। তেহট্ট থানার বেতাইয়েরই বাসিন্দা তিনি। সোনার বিস্কুটগুলি বাংলাদেশের মেহেরপুরের এক ব্যক্তির কাছ থেকে আনা হয়।
নদিয়া: আবারও বিপুল সোনার বিস্কুট পাচারের চেষ্টা সীমান্ত-পথ ধরে। যদিও বিএসএফ সেই চেষ্টা ব্যর্থ করেছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ৫৬.৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ৮টি সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করেছে সীমান্ত রক্ষীবাহিনী। একইসঙ্গে এক চোরাকারবারীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। শুক্রবার বেতাইয়ে এই পাচারের চেষ্টা হয়। তবে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ৮৪ ব্যাটেলিয়নের সীমান্ত চৌকির জওয়ানদের নজরে তা পড়ে যায়। এরপরই হাতেনাতে ধরা হয় অভিযুক্তকে। উদ্ধার হয় সোনার বিস্কুটও। বাংলাদেশ থেকে ভারতে সেগুলি পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল বলে খবর। সোনার বিস্কুটগুলির ওজন ৯৩৩.৫৪ গ্রাম।
বিএসএফ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের দিক থেকে তারের বেড়া টপকে এক ব্যক্তি একটি কী যেন ছুড়ে ফেলে বাংলাদেশের দিকেই পালানোর চেষ্টা করে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নজরে তা পড়ে যায়। এরপরই দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় মোতায়েন দ্বিতীয় টহল দলকে বিষয়টি জানানো হয়। এদিকে সেই সময়ই ভারতের দিক থেকে একজন এসেছিলেন ওই ফেলে দেওয়া জিনিসটি তুলে নিতে।
জওয়ানরা ধাওয়া করতেই পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। তবে বিএসএফের হাত থেকে পালাতে পারেননি। তাঁকে ধরে ফেলা হয়। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে বান্ডিল থেকে ৮টি সোনার বিস্কুট ও একটি কিপ্যাড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম গৌতম রাই। তেহট্ট থানার বেতাইয়েরই বাসিন্দা তিনি। সোনার বিস্কুটগুলি বাংলাদেশের মেহেরপুরের এক ব্যক্তির কাছ থেকে আনা হয়। ভারতের নদিয়া জেলার এক চোরাকারবারিকে তা হস্তান্তরেরও কথা ছিল। এর বদলে তিনি ১ হাজার টাকাও পেতেন। যদিও তার আগেই ধরা পড়ে যান।
দক্ষিণ বঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক (ডিআইজি) এ কে আর্য বলেন, নিরীহ গরিব মানুষকে সামান্য কিছু টাকার লোভ দেখিয়ে চোরাকারবারিরা বিপথে চালায়। সীমান্তে বসবাসকারীরা কোনও সন্দেহজনক কিছু দেখলে বিএসএফ-এর সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বরে অভিযোগ জানান, আবেদন তাঁর।