Ranaghat Road Accident: ঝড়ের গতিতে আসা বাস পাল্টি খেয়ে পড়ল রাস্তায়! মর্মান্তিক পরিণতি যাত্রীদের

Nadia: ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর।

Ranaghat Road Accident: ঝড়ের গতিতে আসা বাস পাল্টি খেয়ে পড়ল রাস্তায়! মর্মান্তিক পরিণতি যাত্রীদের
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু শিশুর (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 29, 2021 | 4:36 PM

রানাঘাট: আবারও বেপরোয়া গতির জের। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল যাত্রী বোঝাই বাস। ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। আহত একাধিক ব্যক্তি। প্রত্যেককে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রানাঘাট,শান্তিপুর ও ফুলিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর ফুলিয়া পাড়া বেলঘড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা। জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগর রানাঘাটগামী একটি লোকাল বাস শান্তিপুরের দিকে যাচ্ছিল। ঠিক তখনই শান্তিপুর ফুলিয়া বেলঘড়িয়া একনম্বর পঞ্চায়েতের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় বাসটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক শিশুর। আহত হয় একাধিক ব্যক্তি। এছাড়াও বেশ কয়েকজন আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের প্রত্যেককেই শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও, ওই এলাকার স্থানীয়দের দাবি বাসটি অতি দ্রুত গতিতে আসছিল রাস্তা খারাপ থাকার কারণে চালকের ভুলের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এরপরেই পাল্টি খায় বাসটি।

ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এছাড়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসে শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু সহ তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্ব।

এদিকে, বারবার খারাপ রাস্তার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। সেই বিষয়ে জানতে জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ঘটনাস্থান পরিদর্সনে এসে যা জানতে পেরেছি খুব দ্রুত গতিতে বাস আসছিল। আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। উল্টে গিয়েছে। পাশাপাশি বাসগুলি রেষারেষি করে। এটি খুব অন্যায়। প্রশাসনের সঙ্গে-সঙ্গে বাস চালককেও সতর্ক থাকতে হবে। কয়েকদিন আগেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়এছে জেলায় তারপরও কেন যে কিছু মানুষের টনক নড়ছে না।”

এক প্রতক্ষ্যদর্শী বলেন, “আমরা বাসের জন্য দাঁড়িয়েছিলাম। খুব দ্রুত গতিতে আসছিল বাসটি। আমার চোখের সামনেই পাল্টি খেয়ে পড়ে যেতে দেখলাম। সেই দৃশ্য বর্ণনা করতে পারব না। একটা বাচ্চা মারা গেছে। প্রায সাত থেকে আট জন আহত হয়েছে। চারিদিকে রক্ত পড়ে রয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, গত মাসের ৩০ নভেম্বর কাকভোরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে নদিয়ায়। পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৮ জন শ্মশানযাত্রী। মৃতদেহ সত্‍কার করতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। উত্তর চব্বিশ পরগনার বাগদার পারমদন এলাকার বাসিন্দা শিবানি মুহুরীর মৃত্যুর পর ঠিক হয়, সত্‍কার করা হবে পাশের জেলা নদিয়ার নবদ্বীপে। সেই মতো রাতেই আত্মীয়, পরিজন, গ্রামবাসী মিলিয়ে পঁচিশ-ছাব্বিশজন মৃতদেহ নিয়ে মালবাহী গাড়িতে সত্‍কারের জন্য রওনা হন। এরপরই নদিয়ার ফুলবাড়িতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেই শববাহী গাড়ি।

ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কয়েকজনের। সকলকেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। সেখানেও মৃত্যু হয় কয়েকজনের। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ছ’জনকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যান পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। লরির চালককে আটক করেছে পুলিশ। শববাহী গাড়ির চালকের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: Corona Update in West Bengal: রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ১০০০ পার! মমতার নির্দেশের পরই তড়িঘড়ি বৈঠক স্বাস্থ্য ভবনে