Shantipur TMC: যুব তৃণমূলের ব্লক কমিটিতে পুলিশকর্মীর নাম! নয়া বিতর্ক শান্তিপুরে
Shantipur: রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার প্রশ্ন তুলেছেন, সঞ্জিৎ সরকার পুলিশের চাকরিরত অবস্থায় কীভাবে রাজনৈতিক দলের পদে রয়েছেন? সাংসদের বক্তব্য, 'পুলিশ কীভাবে প্রভাবিত হচ্ছে, দলতন্ত্র কীভাবে পুলিশের মধ্য প্রভাব বিস্তার করছে... সেই নিয়ে আমরা অভিযোগ করতাম। এখন দেখা যাচ্ছে এটা একেবারে সত্য ঘটনা।'
নদিয়া: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুলিশকর্মী। অথচ তাঁর নাম উঠে এসেছে রাজ্যের শাসক দলের সাংগঠনিক পদে। আর এই নিয়েই শোরগোল নদিয়ার শান্তিপুরে (Shantipur)। সম্প্রতি শান্তিপুর ব্লক (বি) তৃণমূল যুব কংগ্রেসের লেটারপ্যাডে সম্পাদক হিসেবে উঠে এসেছে সঞ্জিৎ সরকারের নাম। অথচ, ওই ব্যক্তি পেশায় পুলিশকর্মী। কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশে কর্মরত। আর এই নিয়েই সরব বিজেপি শিবির। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার প্রশ্ন তুলেছেন, সঞ্জিৎ সরকার পুলিশের চাকরিরত অবস্থায় কীভাবে রাজনৈতিক দলের পদে রয়েছেন? সাংসদের বক্তব্য, ‘পুলিশ কীভাবে প্রভাবিত হচ্ছে, দলতন্ত্র কীভাবে পুলিশের মধ্য প্রভাব বিস্তার করছে… সেই নিয়ে আমরা অভিযোগ করতাম। এখন দেখা যাচ্ছে এটা একেবারে সত্য ঘটনা।’
পুলিশকর্মীর নাম যে দলের সাংগঠনিক পদে উঠে এসেছে, সেই কথা স্বীকার করে নিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও। শাসক শিবিরের বক্তব্য, ‘একটি ছোট্ট ভুল হয়েছিল।‘ শান্তিপুর বি ব্লকের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি পরেশ বিশ্বাস বলছেন, ‘সংবাদমাধ্যমের থেকেই বিষয়টি প্রথম জানতে পারি। একজন পুলিশকর্মীর নাম আমাদের ব্লক তালিকায় চলে এসেছিল। আমরা বিষয়টি জানার পরপরই নামটি কেটে দিয়েছে। যেহেতু তিনি একজন পুলিশকর্মী, তাঁর নাম কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে থাকতে পারে না। কোনও এক ভুল বোঝাবুঝির কারণে নামটি চলে এসেছিল।’
বিজেপি সাংসদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিরোধীদের কাজ বিরোধিতা করা। সেখানে ওনারা ঠিক আছেন। আমাদের ছোট্ট একটা ভুল হয়েছিল।’ ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য সাংসদকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমাদের ছোট্ট একটা ভুলের জন্য আমাদের ব্লকের লোক দীর্ঘদিন পর ওনার মুখ দেখতে পারলেন। এইসব ছোট ছোট বিষয় মানুষের সামনে হাইলাইট করা সাংসদের কাজ নয়।’
যাঁর নাম ঘিরে এত বিতর্ক, সেই সঞ্জিৎ সরকারের সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি বলছেন, ‘আমি রাজনীতির সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নই। যখন খোঁজখবর নিলাম, তখন জানলাম ওরা বলছে ভুল হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে আমি আর কী বলব? যদি ভুল হয়ে থাকে, বা আমার নাম খারাপ করার জন্য করে থাকে… সেই বিষয়টি নিয়ে তাঁদের প্রশ্ন করুন।’ যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটিকে কোনওভাবেই সমর্থন করেন না বলেও জানিয়েছেন সঞ্জিতবাবু।