Shantipur TMC: ‘সরকারে আছে বলে কি যা খুশি করবে?’, প্রশ্ন তুলছেন খোদ পুলিশকর্মী, কী বলছেন রাজনীতিকরা
Shantipur: সঞ্জিৎবাবু প্রশ্ন তুলেছিলেন, 'রাজনীতি করছে বলে, সরকারে আছে বলে কি যা খুশি করবে ওরা (শাসক শিবির?)' পুলিশকর্মীর সেই প্রশ্নের রেশ ধরেই জেলার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল টিভি নাইন বাংলা। গোটা ঘটনা কীভাবে দেখছে জেলার রাজনৈতিক মহল?
শান্তিপুর: নদিয়ার শান্তিপুর ব্লক (বি) তৃণমূল যুব কংগ্রেসের লেটারপ্যাডে সম্পাদক হিসেবে উঠে এসেছিল সঞ্জিৎ সরকারের নাম। তিনি পেশায় পুলিশকর্মী। সরকারি কর্মী। কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশে কর্মরত। তাঁর নাম কীভাবে উঠে জায়গা পেল যুব তৃণমূলের ব্লক কমিটিতে? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে। সেই সংক্রান্ত প্রতিবেদন আগেই প্রকাশিত হয়েছিল টিভি নাইন বাংলায়। সেই সময় যোগাযোগ করা হয়েছিল ওই পুলিশকর্মীর সঙ্গেও, যাঁর নাম নিয়ে এত বিতর্ক। সেই সঞ্জিৎবাবু প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘রাজনীতি করছে বলে, সরকারে আছে বলে কি যা খুশি করবে ওরা (শাসক শিবির?)’ পুলিশকর্মীর সেই প্রশ্নের রেশ ধরেই জেলার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল টিভি নাইন বাংলা। গোটা ঘটনা কীভাবে দেখছে জেলার রাজনৈতিক মহল?
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলগুলি বার বার অভিযোগ তুলেছে, পুলিশ শাসকের ‘দলদাসে’ পরিণত হয়েছে। কিন্তু এখন যখন একজন পুলিশকর্মী নিজে প্রশ্ন তুলছেন বিষয়টি নিয়ে? তখন কীভাবে দেখছেন রাজনীতিকরা? জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল সিপিএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুমিত মিশ্র বলছেন, ‘এটা ভাল যে একজন পুলিশকর্মীর এমন বোধোদয় হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে আছে বলে, ওরা যা খুশি করে – এই কথাটাই আমরাও বলেছিলাম। ২০১১ সালের পর থেকে তৃণমূল কার্যত পুলিশকে দলদাসে পরিণত করেছে। আমরা বলেছিলাম পুলিশকর্মীরা সজাগ হোন। দেরিতে হলেও যে একজন পুলিশকর্মীর এই বোধোদয় হয়েছে, এটা অবশ্যই ভাল। বাকি পুলিশকর্মীরাও এর থেকে শিক্ষা নিন এবং আইনের শাসন যাতে প্রতিষ্ঠিত হয় সেই ব্য়াপারে নজর দেওয়া হোক।’
তৃণমূল শিবিরকে একহাত নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি শিবিরও। বিজেপি কিষান মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার বলছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল কোনও নিয়মের তোয়াক্কা করে না। এদের মধ্যে শিষ্টাচারের কোনও বালাই নেই। এরা রাজ্যের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের কাজে ব্যবহার করতে ব্যস্ত। সরকারি কর্মীদের নিজেদের পার্টির ক্যাডার মনে করে। পুলিশকে নিজেদের তাবেদারি করতে এরা বাধ্য করে, এটা তারই উদাহরণ। আজ ইচ্ছাকৃতভাবে ওই পুলিশকর্মীর যাতে ক্ষতি হয় সেই কাজই তৃণমূল করছে। এদের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজ্য থেকে তাড়ানো উচিত।’
তবে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য তৃণমূলের জেলাস্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে একাধিক ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি বাণী রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর ব্যাখ্যা, তিনি সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি দেখেছেন, কিন্তু এর বেশি আর কিছু তাঁর জানা নেই।