Indian Railway: ভাড়া মাত্র ৬৮ পয়সা/কিমি, এই ট্রেন স্পিডে পাল্লা দিতে পারে বন্দে ভারতকেও
Indian Railway: ভারতীয় রেলের অন্তর্গত প্রিমিয়াম ট্রেনগুলি হল বন্দে ভারত, নমো ভারত, রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেস। এগুলির ঝাঁ চকচকে চেহারা, উচ্চগতি তাক লাগানোর মতো। সারা বছর এই সব ট্রেনে টিকিট পাওয়াই মুস্কিল।
নয়া দিল্লি: ভারতীয় রেলের অধীনে বিভিন্ন ভাড়ার ট্রেনে চড়তে পারেন যাত্রীরা। কোন ট্রেনে কতটা স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যায়, তার উপর নির্ভর করে সেই ট্রেনের ভাড়া কত হবে। সাধারণ এসি কোচের ভাড়া বেশি হয়। উচ্চগতির ট্রেন যেমন রাজধানী এক্সপ্রেস বা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ভাড়াও সাধারণ ট্রেনের তুলনায় বেশি। তবে সাধারণ যাত্রীরা যাতে এসি ট্রেনে চড়তে পারেন, সেই ব্যবস্থাও আছে। এমন একটি ট্রেন আছে, যার গতি বেশি হওয়া সত্ত্বেও ভাড়া খুব বেশি নয়।
ভারতীয় রেলের অন্তর্গত প্রিমিয়াম ট্রেনগুলি হল বন্দে ভারত, নমো ভারত, রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেস। এগুলির ঝাঁ চকচকে চেহারা, উচ্চগতি তাক লাগানোর মতো। সারা বছর এই সব ট্রেনে টিকিট পাওয়াই মুস্কিল। তবে এত বেশি টাকার টিকিট যে সাধারণ মধ্যবিত্তের পক্ষে তা কেনা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এক বিশেষ ট্রেন রয়েছে, যার ভাড়া অত্যন্ত কম। হিসেব মতো ট্রেনটির ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে মাত্র ৬৮ পয়সা। পাওয়া যায় এসি কামরায় চড়ার সুযোগও।
ট্রেনটি হল ‘গরীব রথ’। খুব কম খরচে এসি কামরায় চড়া যায় এই ট্রেনে। এটিকে গরীবের রাজধানী এক্সপ্রেসও বলেন কেউ কেউ। গতিতে বন্দে ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে ‘গরীব রথ’। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সর্বাধিক গতি হতে পারে ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। তবে বর্তমানে এই ট্রেন ৬৬ থেকে ৯৬ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে ছোটে। আর ‘গরীব রথ’-এর গতি ৭০ থেকে ৭৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা। অর্থাৎ অনায়াসেই পাল্লা দিতে পারে বন্দে ভারতকে।
২০০৬ সালে প্রথম ‘গরীব রথ’ চলে বিহার-অমৃতসর রুটে। বর্তমানে ২৭টি রুটে চলে এই ট্রেন। সারা বছরই এই ট্রেনে বহু যাত্রী যাতায়াত করেন।