Hanskhali Case: কাটল দোভাষীর সমস্যা, হাঁসখালি-কাণ্ডে সাক্ষ্য দিলেন নির্যাতিতার মা

Hanskhali Case: ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি এই ভাষাগত সমস্যার কারণেই মৃতার মায়ের বয়ান রেকর্ড করা যায়নি। এরপর শনিবার নির্যাতিতার মায়ের জবানবন্দি রেকর্ড করে আদালত।

Hanskhali Case: কাটল দোভাষীর সমস্যা, হাঁসখালি-কাণ্ডে সাক্ষ্য দিলেন নির্যাতিতার মা
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 04, 2023 | 6:59 PM

নদিয়া: অবশেষে কাটতে চলেছে হাঁসখালি মামলার জট। হাঁসখালিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নির্যাতিতার মায়ের জবানবন্দি রেকর্ড করল রানাঘাট মহকুমা আদালত (Ranaghat Court)। এই ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)-এর আইনজীবীর হিন্দি ভাষায় প্রশ্ন বুঝতে পারেননি মৃতার মা। উল্টোদিকে মৃতার মায়ের বাংলা ভাষায় উত্তর বুঝতেও বেশ বেগ পেতে হয়েছিল সিবিআই-এর আইনজীবীকে। ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি এই ভাষাগত সমস্যার কারণেই মৃতার মায়ের বয়ান রেকর্ড করা যায়নি। এরপর শনিবার নির্যাতিতার মায়ের জবানবন্দি রেকর্ড করে আদালত।

সিবিআই (CBI) এর পক্ষ থেকে আজ একজন দোভাষী আধিকারিককে আদালতে হাজির করানো হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে বিচার প্রক্রিয়া। পাশাপাশি অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়ার কাজও সম্পন্ন হয়। এছাড়া সিবিআই আদালতে ফরেন্সিক তথ্য ও প্রমাণ পেশ করাও হয়। একই সঙ্গে পেশ করা হয় নির্যাতিতার রক্তমাখা জামা ও শ্মশানে দাহ করা ছাই এবং অন্যান্য নথিপত্র।

এ দিন, বাংলাভাষী একজন আধিকারিক নিয়োগ করায় সিবিআই-এর ভাষা বুঝতে পারেন নির্যাতিতার মা। বর্তমানে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ভাষা সংক্রান্ত সমস্যার জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন আইনজীবীরা। সেই পিটিশনকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সমর্থন জানিয়েছিলেন সিবিআই পক্ষের আইনজীবী। এরপরই আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, ২৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যে সিবিআই-কে এই ভাষা বিভ্রাট দূর করার জন্য দোভাষী নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু সেই দিনের মধ্যেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা দোভাষী নিয়োগ করতে ব্যার্থ হয়।

আদালতের নির্দেশ ছিল, ২ মার্চ অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে সিবিআই-কে নির্দিষ্টভাবে আদালতে জানাতে হবে যে তাঁরা দোভাষী নিযুক্ত করতে পেরেছেন। সেই সময়ের মধ্যেই সময়েই তদন্তকারী সংস্থা দোভাষী নিয়োগ করেছেন এবং আদালতকে জানিয়েছেন।

গত বছর এপ্রিল মাসে নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। নাবালিকার মৃত্যুর পর চাইল্ড লাইনের সহযোগিতায় নির্যাতিতার পরিবার ঘটনার চার দিন পর অভিযোগ দায়ের করতে পারে। এই ঘটনায় এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।