Siddiqullah Chowdhury : এখন তো জবরদখলের জমানা, অস্বীকার করা তো যাবে না : সিদ্দিকুল্লা

Siddiqullah Chowdhury : শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গনে সোমবার থেকে শুরু হল ৩৮তম নদিয়া বইমেলা। বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই এদিন এসেছিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

Siddiqullah Chowdhury : এখন তো জবরদখলের জমানা, অস্বীকার করা তো যাবে না : সিদ্দিকুল্লা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 12, 2022 | 7:49 PM

শান্তিপুর : “আমি খুশি। সত্য কথা সত্য ভাবে বলছি। অস্বীকার করা তো যাবে না। সত্যিই তো এখন জবরদখলের জমানা।” নদিয়া বইমেলায় (Nadia Book Fair) গিয়ে শান্তিপুর (Santipur) পাবলিক লাইব্রেরির মাঠ থেকে এ কথা বলতে শোনা গেল রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে (Siddiqullah Chowdhury)। যা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। তবে আগামীতে দ্রুত যে সমস্ত গ্রন্থাগারগুলিতে লাইব্রেরিয়ানের অভাব রয়েছে তাও পূরণ হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। নিয়োগও হবে খুব দ্রুত। এদিন নদিয়া থেকে বললেন তিনি। 

শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গনে সোমবার থেকে শুরু হল ৩৮তম নদিয়া বইমেলা। বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। প্রদীপ জ্বেলে করেন উদ্বোধন। প্রসঙ্গত, বিগত বছরগুলিতে নদিয়া বইমেলা নদিয়ার কৃষ্ণনগরে হত। এই প্রথম শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গনে হচ্ছে নদিয়া বইমেলা। আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই বইমেলা। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, “এর আগে শান্তিপুরের ইতিহাসে কোনও বইমেলা কোনও লাইব্রেরির ক্যাম্পাসে হয়নি। এই প্রথম শান্তিপুরে হচ্ছে। আপনারা এই লাইব্রেরির মাঠ যে ৭৫ বছর ধরে ধরে রেখেছেন তার জন্য স্যালুট জানাই। এখন তো জবরদখলের সময়। সেই জবর ধকলকে হটিয়ে শান্তিপুরের ঐতিহ্য যে ধরে রেখেছেন তার জন্য স্যালুট।” 

এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি খুশি। সত্য কথা সত্য ভাবে বলছি। অস্বীকার করা তো যাবে না। সত্যিই তো এখন জবরদখলের জমানা। তারপরেও যে মাঠ রয়েছে তাতে আমি খুশি।” প্রসঙ্গত, বইমেলায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৮০টি স্টল বসেছে। এদিন উদ্বোধনীর আগে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে পাবলিক লাইব্রেরী কর্তৃপক্ষ। শোভাযাত্রায় শান্তিপুরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার ছাত্রছাত্রীকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর পাশাপাশি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।