Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nadia : কিশোরের মুখে অপহরণের কাহিনি শুনে খোঁজ শুরু পুলিশের, তারপর যা জানা গেল…

Nadia : তাঁর মুখে সব শুনে করিমপুরের বাসিন্দারা তৎক্ষণাৎ খবর দেন পুলিশে। খোঁজ চলে বাকি কিশোরদের। খোঁজ চলে টোটো চালকের।

Nadia : কিশোরের মুখে অপহরণের কাহিনি শুনে খোঁজ শুরু পুলিশের, তারপর যা জানা গেল…
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2022 | 11:31 PM

নদিয়া: মাঠে খেলছিল তারা। রাস্তাতেও ভিড় ছিল। একটা টোটো এসে দাঁড়ায় মাঠের পাশে। কিছুক্ষণ পর টোটো চালক (Toto Driver) তাদের ডেকে চকোলেট দেন। চকোলেট নিতে এলে তাদের টোটোতে চাপিয়ে পালাচ্ছিল চালক। টোটোতে চকোলেট খেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়ে বাকিরা। মাঝপথে টোটো থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায় সে। সে ওই চকোলেট খায়নি বলে জানায়। নিজ পাড়া ছেড়ে অন্য পাড়ায় দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে ঠিক এই গল্পই বলেছিল এক কিশোর। 

ঘটনা প্রসঙ্গে সে বলে, “আমরা মাঠে খেলছিলাম। তখন একটা টোটো এল। টোটোতে থাকা একটা লোক আমাদের চকোলেট খেতে দেবে বলে ডেকে নিয়ে যায়। আমরা ওর পিছু পিছু যাই। চকোলেট দেয়। ওটা খেতেই চলন্ত টোটোতে আমাদের মধ্যে থাকা তিনজন ঘুমিয়ে পড়ে। আমরা দুজন না খাওয়াতে ঘুমাইনি। কোথায় নিচ্ছে যাচ্ছে বুঝতে না পারায় আমরা ঝাঁপ দিই টোটো থেকে।” কিশোরের দাবি ছিল, সে ছাড়া বাকি যে পড়ুয়াদের অপহরণ করা হয়েছিল তাদের প্রত্যেকের বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে।

তাঁর মুখে সব শুনে করিমপুরের বাসিন্দারা তৎক্ষণাৎ খবর দেন পুলিশে। খোঁজ চলে বাকি কিশোরদের। খোঁজ চলে টোটো চালকের। তবে কারও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। খোঁজ মেলেনি টোটোর। এমনকী যে শিশুগুলি নিখোঁজ হয়েছিল তাদের পরিবারের তরফেও থানায় কোনও নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়নি। তাতেই সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। জোরকদমে ওই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে নদিয়ার করিমপুর পুলিশ। কিশোরের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয় পুলিশের তরফে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশের দাবি, বাচ্চাটির পড়াশোনা করতে ভাল লাগত না। সে কারণেই সবার অলক্ষ্যে বাড়ি থেকে সকালবেলায় পায়ে হেঁটে পালিয়ে আসে করিমপুরের দিকে। এরপর যাতে বাড়িতে তাকে ফিরে না যেতে হয় তার জন্য গল্পটা তৈরি করেছিল সে।