Myanmar Earthquake: ‘তাসের ঘরের’ মতো ভাঙছে ইমারত, মায়ানমারের কম্পনে মৃত সহস্র, ফোন করে খোঁজ নিলেন মোদী
Myanmar Earthquake: বিদেশমন্ত্রক তরফে জানানো হয়েছে, 'অপারেশন ব্রহ্মা'র মাধ্যমে আরও ত্রাণ পাঠানো হবে মায়ানমারকে। পাশাপাশি, বিদেশমন্ত্রকের আরও দাবি, 'মায়ানমারের ঘটনার পর দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে ভারত সবার আগে পৌঁছে গিয়েছে।'

নয়াদিল্লি: চোখের পলকে ভেঙে পড়ল একের পর এক বাড়ি। উঁচু ইমারত কিংবা ছোট ছাউনি, দুর্বিসহ পরিস্থিতির প্রভাব থেকে বাদ পড়ল কোনও কিছুই। কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মায়ানমার। একটা ভূমিকম্প সব ‘খেয়েছে’ সেখানে। এমনকি প্রভাব পড়েছে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও।
শুক্রবারের ঘটনায় সেদেশের রাজধানী ব্যাঙ্ককে ভেঙে পড়েছে একটি ৩০ তলা ইমারতও। মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। ঘরছাড়া সহস্র। শনিবারের একটি পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, গতকাল দুই দেশকে নাড়িয়ে দেওয়া ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে হাজারের বেশি মানুষের। এছাড়াও জখম হয়েছেন প্রায় ২ হাজার ৩৭৬ জন।
উল্লেখ্য, এই ভূমিকম্পের হাত থেকে রেহাই পায়নি ভারত, বাংলাদেশও। গতকাল মায়ানমারের তলে তৈরি হওয়া ৭.৭ ম্যাগ্নিটুডের ভূমিকম্প নাড়িয়েছে কলকাতাকেও। ঝাঁকুনি অনুভব করেছে পদ্মা পাড়ের দেশও।
গতকালের ভূমিকম্পের পর প্রাণরক্ষা পাওয়া মায়ানমারের এক বাসিন্দা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের সময় তিনি বাথরুমে ছিলেন। হঠাৎ করেই ‘তাসের ঘরের মতো’ তার ফ্ল্যাট-সহ গোটা বিল্ডিং যে ভেঙে পড়ছে, তা বুঝতে পারেন তিনি। সেই দুর্গত ব্যক্তির আরও দাবি, যখন চোখ খুললাম, চোখের সামনে শুধু কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপ আর হাহাকার। তবে ওই ব্যক্তির প্রাণরক্ষা হলেও ভূমিকম্পের পর থেকেই নিখোঁজ তার পরিবারের অন্য সদস্যরা।
#WATCH | #MyanmarEarthquake | The first tranche of 15 tonnes of relief material, including tents, blankets, sleeping bags, food packets, hygiene kits, generators, and essential medicines, has landed in Yangon#OperationBrahma
(Source – XP Division, MEA) pic.twitter.com/h628M3iQqr
— ANI (@ANI) March 29, 2025
ইতিমধ্যেই মায়ানমারের পাশে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। শুক্রবারই এই প্রসঙ্গে নিজের এক্স হ্য়ান্ডেলে একটি পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। জানা গিয়েছে, IAF C 130 J যুদ্ধ সরঞ্জাম সরবরাহকারী বিমানের মাধ্যমে ১৫ টনের ত্রাণ পাঠানো হয়েছে মায়ানমারে। বিদেশমন্ত্রক তরফে জানানো হয়েছে, ‘অপারেশন ব্রহ্মা’র মাধ্যমে আরও ত্রাণ পাঠানো হবে মায়ানমারকে। পাশাপাশি, বিদেশমন্ত্রকের আরও দাবি, ‘মায়ানমারের ঘটনার পর দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে ভারত সবার আগে পৌঁছে গিয়েছে।’ শনিবার আবার মায়ানমারের জুন্টা সরকারের প্রধান ফোন করে দুর্গতদের খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই ফোনালাপ প্রসঙ্গে সমাজমাধ্যম তিনি লিখেছেন, ‘মায়ানমারের সিনিয়র জেনারেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভূমিকম্পে বহু মানুষের প্রাণ চলে গিয়েছে। ভারত এমন কঠিন সময় তাদের পাশে রয়েছে।’





