Road Accident: মর্মান্তিক! শবদাহ করতে গিয়ে মৃত্যু মিছিল, অনিয়ন্ত্রিত গতিতে প্রাণ গেল ১৮ জনের

Nadia: মৃতদেহ সৎকার করতে একটি গাড়ি করে প্রায় ৩৫ জনের যাত্রী নিয়ে নবদ্বীপ যাচ্ছিলেন।

Road Accident: মর্মান্তিক! শবদাহ করতে গিয়ে মৃত্যু মিছিল, অনিয়ন্ত্রিত গতিতে প্রাণ গেল ১৮ জনের
এই লরিটিকে ধাক্কা মারে শববাহী গাড়িটি (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2021 | 10:14 AM

নদিয়া: সকাল-সকাল বড়সড় দুর্ঘটনার (Accident) খবর। নবদ্বীপে সৎকারে যাওয়ার পথে গতির বলি প্রায় ১৮। জখম আরও জনা সতেরো শশ্মানযাত্রী। একে কুয়াশা তারপর অনিয়ন্ত্রিত গতি। সংঘর্ষের অভিঘাতেই মৃত্যু মিছিল।

ঘটনাস্থান নদিয়ার ফুলবাড়ি। সূত্রের খবর,মদন এলাকার বাসিন্দার শিবানী মুহুরী। তার মৃত্যুর পর মৃতদেহ সৎকার করতে একটি গাড়ি প্রায় পঁয়ত্রিশ জনের যাত্রী নিয়ে নবদ্বীপ যাচ্ছিল। সেই সময় হাসখালি থানা ফুলবাড়ি এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পাথর বোঝাই লরিতে সরাসরি ধাক্কা মারে শববাহী ওই গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। সেখানেও মৃত্যু হয় কয়েকজনের বলে জানা যায়। একাধিক জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে অনুমান চিকিৎসকদের।

এক যাত্রী বলেন, “আমরা উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে নবদ্বীপ যাচ্ছিলাম শবদাহ করতে। রাস্তার পাশে একটি পাথর বোঝাই গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। সেই সময় সামনাসামনি ধাক্কা মেরে গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তিরিশ জনের মধ্যে কুড়িজনের প্রাণ চলে গিয়েছে যতদূর জানি। বাকি দশজন বেঁচে রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক”

কাঁদো-কাঁদো অবস্থায় আরও এক যাত্রী বলেন, “রাস্তায় কুয়াশা ছিল। খানাখন্দ ভরা ছিল। হয় ড্রাইভার ঘুমিয়ে পড়েছিল নয়ত দেখতে পায়নি। এত জোরে গাড়ি চালাচ্ছিল। নবদ্বীপের সামনে এসে পাশের একটি পাথর বোঝাই লরিতে ধাক্কা মারে। প্রায় জনা সতেরো-আঠারো মানুষ মারা গিয়েছেন। যার শব নিয়ে ওই গাড়িটি রওনা দিয়েছিলেন তার পরিবারের মোট পাঁচজন মারা গিয়েছে। ওদের সঙ্গে পাঁচ বছরের একটি মেয়েও ছিল। সেও আর রইল না। কয়েকদিন আগেই আমার আত্মীয় বাড়ি ফিরেছিল। সে সিআরপিএফ জওয়ান। ওই গাড়িতে সেও ছিল। এখন আর বেঁচে নেই।”

দুই ছেলেকে হারিয়ে শোকে কাতর এক বৃদ্ধ। দিগ-বিদিগ জ্ঞানশূন্য অবস্থা হয়ে গিয়েছে তাঁর। ঠিকভাবে বলতে পারলেন কী হয়েছে। শুধু কাঁদো-কাঁদো গলায় বললেন, “আমার দুই ছেলে। দু’জনেই মারা গিয়েছে।”

এদিকে, প্রশ্ন উঠছে এত মানুষের মৃত্যুর দায় নেবে কে? রাস্তায় একাধিক খানা-খন্দ রয়েছে। তারপর অনিয়ন্ত্রিত গতি। যদি একটু সাবধানে গাড়ি চালক চালাতেন তাহলে কি এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত না? একের পর এক প্রশ্ন উঠছে।

আরও পড়ুন: Karnataka COVID Norms: ওমিক্রন রুখতে তৎপর কর্নাটক সরকার, দেশ-বিদেশের যাত্রীদের মানতে হবে একাধিক নিয়ম