Nadia School: ভেঙে পড়ছে চাঙড়, খসছে ইট, স্কুলে পাঠাতেই বুুক কাঁপছে অভিভাবকদের
Nadia School: লিখিতভাবে এই অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। তাঁদের দাবি, সব সময় আতঙ্কে ভুগছেন তাঁরা।
নদিয়া: মালদহের পর পুরুলিয়া। দেওয়াল চাপা পড়ে পরপর দুই পড়ুয়ার মৃত্যুতে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এরই মধ্যে স্কুলের ভবনের যে ছবি দেখা গেল নদিয়ায়, তাতে বাবা-মায়েরা কতটা নিশ্চিন্তে সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে পারবেন, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। শ্রেণিকক্ষে ভেঙে পড়ছে চাঙড়। পাশেই রয়েছে একটি নির্মীয়মান ভবন। সেখাও খসে পড়ছে ইঁট, ঝুলছে রড। স্বাভাবিকভাবে ঝুঁকি বাড়ছে শিশুদের। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এ বিষয়ে বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও তৎপরতা নেই। আর মালদহ ও পুরুলিয়ার ঘটনার পর অভিভাবকেরাও ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। রানাঘাট থানার তারাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পূর্ব তারাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছবিটা এরকমই।
এই বিদ্যালয়ে মোট ১০৭ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে। প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস করানো হয় এই স্কুলে। চারটি শ্রেণিকক্ষ আছে। প্রত্যেকটিরই ভগ্নপ্রায় অবস্থা।
স্কুলের সহকারী শিক্ষক সমীরণ সমাদ্দার জানান, ২০১১ সাল থেকে এই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন তিনি। তখন থেকেই ঘরগুলির অবস্থা ভাল নয় বলে জানান তিনি। শিক্ষক বলেন, এর জন্য শিশুদের খুব অসুবিধা হচ্ছে না। লিখিতভাবে এই অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর দাবি, শিশুদের ওপর সবসময় নজর রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিপদের আতঙ্কে ভুগছেন তাঁরা। পঞ্চায়েত থেকে পরিদর্শন হয়েছে, বিডিও অফিস থেকেও পরিদর্শন হয়েছে, কিন্তু আখেরে লাভ হচ্ছে না। আর এক শিক্ষিকা রিমনা বিশ্বাস জানান, একটু মেরামত করা হলে ভাল হয়।
গত বৃহস্পতিলার মালদহের মোথাবাড়ি এলাকায় একটি স্কুলের শৌচাগারের দেওয়াল ভেঙে এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয়েছিল আরও একজন। আর শুক্রবার পুরুলিয়ার আদ্রায় সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ফের স্কুলের শৌচাগারের লাগোয়া দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক নাবালকের। পরপর দুই পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাজ্যজুড়ে স্কুলগুলির অবস্থায় নজর দেওয়া দরকার বলে মনে করছেন অভিভাবকেরা, যাতে আগামিদিনে এই ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে।