TMC MLA: দুর্নীতির অভিযোগে মামলা চলছে, তার মধ্যেই শিক্ষা সংসদের পদ থেকে অপসারিত তৃণমূল বিধায়ক

Nadia Karimpur MLA: কিছুদিন আগেই হাসান আলি নামে তৃণমূলের এক নেতা দাবি করেন, ব্লক সভাপতি করে দেওয়ার জন্য ৭ লক্ষ টাকা তাঁর কাছ থেকে চেয়েছিলেন বিমলেন্দুবাবু।

TMC MLA: দুর্নীতির অভিযোগে মামলা চলছে, তার মধ্যেই শিক্ষা সংসদের পদ থেকে অপসারিত তৃণমূল বিধায়ক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 04, 2022 | 8:08 PM

নদিয়া: বছর খানেক পদ পেয়েছিলেন তিনি। আর এক বছর এক মাসের মধ্যেই সেই পদ থেকে অপসারিত হলেন নদিয়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান তথা করিমপুরে তৃণমূল বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্কুল শিক্ষা দফতরের যুগ্ম সচিবের তরফে তাঁকে অপসারণের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আপাতত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলাবেন নদিয়া জেলার জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি।

এই নির্দেশিকা জেলাশাসক সহ একাধিক দফতরে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, পরবর্তী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জেলা শাসকের হাতেই থাকবে দায়িত্ব। কিছুদিন আগেই করিমপুরের বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায়ের বিরুদ্ধে দলীয় পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর দলেরই এক কর্মী সেই অভিযোগ করেছিনেন। আপাতত সেই মামলা কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। এরই মধ্যে অপসারণের সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।

তবে অপসারিত চেয়ারম্যান বিমলেন্দু সিংহ রায়ের দাবি, এটা রুটিন বদলি। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই বলেই মনে করেন তিনি। বিমলেন্দুবাবু জানান, তিনি একটি চিঠি পেয়ে শুক্রবার দফতরে কথা বলতে এসেছেন। তাঁর মতে, একজনের বদলে আর একজন দায়িত্ব নেয়, এটাই স্বাভাবিক। দুর্নীতির অভিযোগের প্রভাব নয় তো? এই প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক বলেন, ‘ওটা একটা মিথ্যা অভিযোগ ছিল, সেটা সবারই জানা।’

অন্যদিকে, বিজেপি কিষণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার দাবি করেন, বিমলেন্দুবাবু নিজে একজন শিক্ষক হয়েও তৃণমূলের পাল্লায় পড়ে একের পর এক দুর্নীতিতে জড়িয়ে যাচ্ছেন। দলটার আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ভরা বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই হাসান আলি নামে তৃণমূলের এক নেতা দাবি করেন, ব্লক সভাপতি করে দেওয়ার জন্য ৭ লক্ষ টাকা তাঁর কাছ থেকে চেয়েছিলেন বিমলেন্দুবাবু। কিন্তু সম্প্রতি জেলা কমিটি ঘোষণা হয় নদিয়ায়। তাতে দেখা যায় প্রত্যাশা পূরণ হয়নি হাসান আলির। ব্লক সভাপতি পদে দল ঘোষণা করেছে অন্য ব্যক্তির নাম। টাকা দিয়েও কাজ হয়নি। বিধায়কের কাছে টাকা ফেরত চাইলে, পাল্টা হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। সেই মামলা এখনও চলছে।