Nadia: টাকা দিলেই মিলবে তৃণমূলের পদ, বিধায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

Nadia: নদিয়া জেলার করিমপুর বিধানসভা এলাকা অভিযোগের হটস্পট। আর অভিযুক্ত খোদ স্থানীয় বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহরায়। জানা গিয়েছে, স্থানীয় কর্মী হাসান আলি মতলব করিমপুর ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কর্মী।

Nadia: টাকা দিলেই মিলবে তৃণমূলের পদ, বিধায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
বিধায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2022 | 1:11 PM

নদিয়া: যেমন পদ, তেমন দাম! দলের পদ মিলবে টাকা দিলেই। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরেও পদ না মেলায় এবার সরাসরি দলের বিধায়ককেই কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল কর্মী। ঘটনাটি নদিয়া জেলার করিমপুরের। আপাতত সেখানকার রাজনীতি সরগম এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই। টাকা নিয়ে পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বিধায়ক। প্রমাণ দিলে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার সুর তাঁর গলায়।

নদিয়া জেলার করিমপুর বিধানসভা এলাকা অভিযোগের হটস্পট। আর অভিযুক্ত খোদ স্থানীয় বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহরায়। জানা গিয়েছে, স্থানীয় কর্মী হাসান আলি মতলব করিমপুর ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কর্মী। ব্লক সভাপতি হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন বিধায়কের কাছে। হাসান আলির দাবি, ব্লক সভাপতি করে দেওয়ার জন্য ৭ লক্ষ টাকা তার কাছ থেকে দাবি করেন বিমলেন্দুবাবু। কিন্তু সম্প্রতি জেলা কমিটি ঘোষণা হয় নদিয়ায়। তাতে দেখা যায় প্রত্যাশা পূরণ হয়নি হাসান আলির। ব্লক সভাপতি পদে দল ঘোষণা করেছে অন্য ব্যক্তির নাম। টাকা দিয়ে কাজ হয়নি, বুঝতে পারেন হাসান আলি। তার অভিযোগ, বিধায়কের কাছে তিনি টাকা ফেরত চাইলেও তা মেনেনি। উল্টে তাকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার হাসান আলির পরিবারের পক্ষ থেকে সরাসরি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপারের কাছে। হাসান আলি বলেন, ‘দলের পদ পাওয়ার জন্য আমি সাত লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম বিমলেন্দুবাবুকে। কিন্তু যখন দেখলাম আমি সেই পদ পাইনি তখন ওনার কাছে টাকা ফেরত চাই। আমার দেওয়া সাত লক্ষ টাকা ফেরত না পেলেও বিমলেন্দু বাবুর লোকেরা আমাকে হুমকি দিতে থাকেন। তাই বাধ্য হই আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে। আমি নিজে একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মী, আমার ছেলেও সেনায় কর্মরত। আমরা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছি। পুলিশের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।’

অন্যদিকে, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায়। তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সর্বৈব মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো। তাছাড়া এই বিষয়টি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানাবো।’