Bangladeshi Arrested: কোর্টে তোলার সময় পুলিশের হাত ছাড়িয়ে ছুট, এরপর বাংলাদেশ থেকে নদিয়ায় ঢুকে জবরদস্ত প্ল্যান যুবকের…
Bangladesh: সইদুল শেখ নামে ৩৭ বছর বয়সী যুবকের বাড়ি বাংলাদেশের চুয়াডাঙা জেলার রায়পুরের বারান্দি গ্রামে।
নদিয়া: আদালতে তোলার সময় অভিযুক্তের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। সেলুলয়েডে তো চেনা দৃশ্য। বাস্তবেও এমনটা আকছাড় ঘটে থাকে। কিন্তু তা বলে পুলিশের হাত ছাড়িয়ে চম্পট দিয়ে একেবারে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পালিয়ে আসা এমন ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না। সম্প্রতি নদিয়ায় এরকমই এক ঘটনা সামনে এসেছে। অভিযুক্ত ওই যুবকের বাড়ি বাংলাদেশে। কিছুদিন আগে তাঁকে সে দেশেরই আদালতে তোলা হচ্ছিল। সেখান থেকে পালিয়ে ঢুকে পড়েন ভারতে। সীমান্তবর্তী জেলা নদিয়ায় এসে থাকতেও শুরু করেন বলে অভিযোগ। এরপরই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভীমপুর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হয়।
সইদুল শেখ নামে ৩৭ বছর বয়সী যুবকের বাড়ি বাংলাদেশের চুয়াডাঙা জেলার রায়পুরের বারান্দি গ্রামে। অভিযোগ, সইদুল বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি, রাহাজানি এমনকী খুনের অভিযোগ পর্যন্ত রয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁকে গ্রেফতারের পর আদালতে তোলার সময় বাংলাদেশের কোট চাঁদপুর এলাকা থেকে পুলিশকে ঠেলে পালিয়ে যান তিনি।
অভিযোগ, এরপরই নদিয়ার ভীমপুর থানার জলকর মথুরাপুরের একটি ইটভাটায় এসে আশ্রয় নেন। সূত্রের খবর, বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে ভারতে ঢোকেন তিনি। সে দেশের পুলিশ এদেশের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এরপরই ভীমপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সইদুল শেখকে। পুলিশের জেরার মুখে তিনি নিজে মুখে সবটাই কবুল করেছেন।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এ দেশে বসবাসের পরিকল্পনাও ছিল তাঁর। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। এদিন ধৃতকে কৃষ্ণনগর দায়রা আদালতে তোলা হয়। তবে নদিয়ায় বসবাসের ক্ষেত্রে কে বা কারা তাঁদের সহযোগিতা করেছেন সে প্রশ্নের উত্তরও খুঁজছে পুলিশ। সীমান্ত পেরিয়ে কীভাবেই বা তিনি এই দেশে ঢুকলেন, জেরা করে তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।