Abhishek Banerjee: ‘দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এখন অন্য কেউ নয়, আমি’, দলের নেতাদের কী বার্তা দিলেন অভিষেক?

Nadia: অভিষেক বলেন, "ছ’মাস অন্তর কলকাতা থেকে আসা আর যোগ্যদের জায়গা না দিয়ে তল্পিবাহকদের স্থান দেওয়া, এসব চলবে না। ভোট অবাধ হবে, কেউ গুন্ডামি করব ভাবলে ১ ঘণ্টার মধ্যে দল থেকে বার করব।"

Abhishek Banerjee: 'দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এখন অন্য কেউ নয়, আমি', দলের নেতাদের কী বার্তা দিলেন অভিষেক?
রানাঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 17, 2022 | 11:29 PM

নদিয়া: ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি এ জেলায় মাটি শক্ত করেছিল। এরপর বিধানসভা ভোটেও নিজেদের ক্ষমতা দেখায় গেরুয়া শিবির। সেই নদিয়া জেলায় গত মাসে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, “যার ইগো থাকবে, বাড়িতে বসে যান। কাজ করার দরকার নেই। কলকাতার সঙ্গে কার যোগাযোগ আছে আপনার জানার দরকার নেই। আমরা মাঠে খুঁজে নেব তাঁকে।” সেই একই সুরে এদিন দলের নেতা, কর্মীদের বার্তা দিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রানাঘাটে সভামঞ্চ থেকে অভিষেক বার্তা দিলেন, “কারও তাবেদারি করার দরকার নেই। প্রতীক জোড়াফুল, আর একজনই নেত্রী, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” একইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন, “ছ’মাস অন্তর কলকাতা থেকে আসা আর যোগ্যদের জায়গা না দিয়ে তল্পিবাহকদের স্থান দেওয়া, এসব চলবে না। ভোট অবাধ হবে, কেউ গুন্ডামি করব ভাবলে ১ ঘণ্টার মধ্যে দল থেকে বার করব।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “নতুন বছর, নতুন তৃণমূল। নতুন উন্মাদনা, নতুন উদ‌্যম। নতুন স্বতঃস্ফূর্ততা, নতুন কর্মসূচি।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “কারও তাবেদারি করার দরকার নেই। প্রতীক জোড়াফুল, আর একজনই নেত্রী, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি আজ আসতে আসতে ভাবছিলাম, এমন কী হল যে রানাঘাটে আমাদের ফল খারাপ হল। লোকসভায় আমরা ভাল ফল করতে পারিনি। বিধানসভায় হয়তো কৃষ্ণনগরে আমরা ভাল ফল করেছি, কিন্তু রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার যে বিধানসভা আসনগুলো, সেখানে আমরা প্রত্যাশিত বা আশানুপরূপ ফল করতে পারিনি। আমি গাড়িতে আসতে আসতে ভাবছিলাম, ২০০৮ সালে পঞ্চায়েতে পরিবর্তনের চাকা যখন ঘুরেছিল, ভোট দিয়েছিল পরিবর্তনের পক্ষে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া। নদিয়া ১৮৭টি গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে এককভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে ৭০টায় জিতিয়েছিল।”

২০১১ সালে জোড়াফুলের সমর্থনে ভোট দেয় এই জেলা। অভিষেকের কথায়, “আপনাদের ভালবাসা, সমর্থনকে পাথেয় করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৭টার মধ্যে ১৩টিতে আপনারা জোড়াফুলের প্রার্থীকে জয়ী করেছিলেন। পরবর্তীকালে ২০১৪ সালে রানাঘাট ও কৃষ্ণনগর দু’টো লোকসভা কেন্দ্র থেকে আমাদের প্রার্থীকে আপনারা বিপুল ভোটে জিতিয়ে সংসদে পাঠিয়েছেন। কিন্তু এমন কী হল তিন চার বছরে রানাঘাটের মানুষ তৃণমূলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল?”

নদিয়া জেলায় বিভিন্ন সময় দলাদলির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের অন্দরে। এদিন অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, দলেরই কিছু লোক এই ফলের জন্য দায়ী। অভিষেক বলেন, “আমাদের কিছু লোকের জন্য বিশেষ করে এই জেলায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন মানুষ। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এখন অন্য কেউ নয়, আমি। নজরদারির দায়িত্বে আমি রয়েছি। আমি অন্য ধাতুতে তৈরি। কেন্দ্র আমার পিছনে ইডি, সিবিআই লাগিয়ে কিছুই করতে পারেনি। আমি মাথা উঁচু করে গিয়েছি। যতবার ডাকবে যাব। আমি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বলব গত তিন চার বছরে আমাদের তরফে যদি কোনও ভুল ত্রুটি হয়, আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে ক্ষমা করুন। আমার দলকে ক্ষমা করুন। কিন্তু ঘরের ছেলেকে আপনি শাসন করবেন, মুখ ফিরিয়ে নেবেন না।”