School Chaos: কেন স্কুলে সরস্বতী পুজো হয়নি তা নিয়ে তুলকালাম, আজব যুক্তি দিলেন প্রধান শিক্ষক
School Chaos in Nadia: এই বছর ওই স্কুলে কোনও সরস্বতী পুজো হয়নি। এমনকী পুজো নিয়ে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা কিংবা স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি কারোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
নদিয়া: আজব দাবি! স্কুলে কেন সরস্বতী পুজো করা হল না সেই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পড়ুয়া। এখানেই শেষ নয়, রীতিমত প্রধান শিক্ষককে স্কুলের ভিতর ঢুকিয়ে দরজায় তালা বন্ধ করে রাখলেন তাঁরা। তারপরও কিন্তু নড়ন-চড়ন নেই শিক্ষকদের। কেন পুজো হয়নি বলে বার-বার প্রশ্ন করায় শেষমেশ তিনি সাফ জানালেন ‘ইচ্ছা হয়নি পুজো করিনি!’
এমনই অদ্ভূত ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের খুদের কালিতলা বিভূতিভূষণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। জানা গিয়েছে, এই বছর ওই স্কুলে কোনও সরস্বতী পুজো হয়নি। এমনকী পুজো নিয়ে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা কিংবা স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি কারোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। এরপর সোমবার স্কুল খুললেই সকাল-সকাল এলাকায় হাজির হন গ্রামবাসীরা। স্কুল ঘরের মধ্যে প্রধান শিক্ষককে বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। একাধিকবার জানতে চাওয়া কেন স্কুল পুজো করা হয়নি? যদিও, যথাপোযুক্ত কোনও কারণ দেখাতে না পারায় প্রধান শিক্ষক সাফ জানিয়ে দেন ‘ইচ্ছা হয়নি পুজো করিনি।’
এক অভিভাবক বলেন, “আমি এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। আমরা ছোটবেলায় কত মজা করতাম। প্রসাদ খেলাম। পড়ুয়াদের তো সরস্বতী পুজোর সময়ই যত আনন্দ হয়। সব স্কুলে পুজো হয়েছে। শুধু এখানেই হয়নি।” অন্যান্য শিক্ষিকারা বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মানা করেছে সে কারণে আমরা সরস্বতী পুজোর দিন স্কুলে আসেনি। এদিকে, যাকে ঘিরে এত অভিযোগ সেই প্রধান শিক্ষক লব বর্মণ উল্টে দাবি করেন, “উচ্চ দফতরের পুজো বন্ধ রাখা কোনও নির্দেশিকা ছিল না, আবার পুজো করারও নির্দেশ ছিল না। কিন্তু আমার ইচ্ছে হয়েছে পুজো করিনি। এখনও স্কুল ঠিক ভাবে খোলেনি। আজকে থেকে পাড়ায় শিক্ষালয় শুরু হয়ছে। এই পরিস্থিতিতে আমার মনে হয়েছে তাই আমি করিনি।”
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে জেলার আরও একটি ঘটনা রীতিমত ভাইরাল হয়ে যায়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককের সঙ্গে ভূগোল শিক্ষকে মারপিট (School Chaos) করতে দেখা যায়। প্রধান শিক্ষককে রীতিমত সপাটে থাপ্পড় লাগান তিনি। ঘটনার পর ছি ছি পড়ে যায় নেটমাধ্যমে। বার-বার প্রশ্ন উঠতে থাকে যদি স্কুলের মধ্যেই শিক্ষকরা এমন কাজ করেন তাহলে পড়ুয়ারা কী শিখবে তাঁদের কাছ থেকে?