Women Committed Suicide: বিয়ের আয়োজনের মাঝেই ‘প্রতিশ্রুতি’ ভাঙল পুলিশ ‘প্রেমিক’, তারপরের পরণতি ভয়ঙ্কর

Nadia: এদিকে, মেয়ের মৃত্যুতে তার পরিবার কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রেমিককেই। এবিষয়ে স্থানীয় রানাঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

Women Committed Suicide: বিয়ের আয়োজনের মাঝেই 'প্রতিশ্রুতি' ভাঙল পুলিশ 'প্রেমিক', তারপরের পরণতি ভয়ঙ্কর
নদিয়ায় আত্মহত্যা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 23, 2022 | 8:18 PM

নদিয়া: টানা আট বছরের সম্পর্ক থেকে বিয়ের সিদ্ধান্ত। ঠিক হয়ে গিয়েছিল শুভদিনটিও। এমনকী অল্প-অল্প করে প্রায় সব প্রস্তুতিই সারা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ সেই সমস্ত হিসেব নিকেশ ওলটপালট করে বিয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসল পুলিশ প্রেমিক। ফলে বিয়ের সামনে এসেও এভাবে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি প্রেমিকা। অভিমানে আত্মহননের চরম সিদ্ধান্ত নেন। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার রানাঘাট থাকা এলাকার মাটিকুমড়ায়। এরপর নিজের গলায় ফাঁস লাগিয়ে বাড়িতেই আত্মঘাতী হন তিনি।এদিকে, মেয়ের মৃত্যুতে তার পরিবার কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রেমিককেই। এবিষয়ে স্থানীয় রানাঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটিকুমড়া এলাকারই বাসিন্দা পেশায় পুলিশকর্মী কৌশিক মণ্ডলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কল্পনা মজুমদারের। দীর্ঘ আট বছরের সম্পর্কে থাকার পর দুজনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে কল্পনার পরিবারের তরফে বিয়েতে মত দেওয়া হয়নি। কিন্তু কৌশিকের পরিবারের অনুরোধে তারা রাজি হয়। দুই পরিবার মিলে ঠিক হয় বিয়ের দিনক্ষণ। চলছিল ম্যারেজ রেজিস্ট্রি প্রক্রিয়াও। অভিযোগ, এরই মাঝে হঠাৎ কৌশিক জানায় কল্পনাকে বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। যদিও এই সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও যুক্তিযুক্ত কারণ দেখায়নি অভিযুক্ত। ফলে অভিমানে আত্মহননের পথ বেছে নিতে একপ্রকার বাধ্য হন কল্পনা।

ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতার বাবা নিত্যানন্দ মজুমদার বলেন, ‘ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলাম না। ফিরে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। ভিতরে টিভি চলছে। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও মেয়ের সাড়া না পাওয়ায় বাড়ির পিছন দিকের একটি জানলা দিয়ে দেখতে যাই। সেখান দিয়েই দেখতে পাই আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই মৃত্যুর জন্য সম্পূর্ণভাবে কৌশিক দায়ী। সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাওয়ার পরেও সে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় আমার মেয়েকে এই কঠিন পথ বেছে নিতে হয়েছে। আমি চাই পুলিশ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।’ এরপরই এই ঘটনার পরই মৃতের পরিবার স্থানীয় রানাঘাট থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

এদিকে, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পুলিসকর্মীর বাড়ি তালাবন্ধ। সেখানে নেই তার পরিবারও। যদিও অভিযুক্তের কাকা অভিজিৎ মন্ডল পাল্টা অভিযোগ এনেছেন কল্পনার বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এমন ঘটনার জন্য দুজনেই দায়ী। ভাইপো আমাকে একটু ফোন রেকর্ডিং শুনিয়েছিল। তাতে দীপঙ্কর বলে এক যুবক কল্পনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে সমস্যা চলছিল। তারপরেই কৌশিক এই বিয়েতে করতে অস্বীকার করে। যদিও এরপর আমি প্রশ্ন করলে সে আমাকে কোনও উত্তর দেয়নি।’

আরও পড়ুন: North Bengal Medical College: উহান ফেরত মহিলার মৃত্যু, আতঙ্ক বাড়ছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে