Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nadia: পরকীয়া করে ঘরছাড়া, সালিশি সভাতেই এল না প্রেমিক, ‘অভিমানে’ চরম সিদ্ধান্ত যুবতীর

Nadia: রহিমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানাচ্ছেন, নজরুল বাইরে গেলেও নিয়মিত বাড়িতে টাকা পাঠাতে থাকেন। স্বচ্ছলভাবেই দিন কাটছিল রহিমার। কিন্তু, স্বামী বাইরে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যে এলাকার অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর।

Nadia: পরকীয়া করে ঘরছাড়া, সালিশি সভাতেই এল না প্রেমিক, 'অভিমানে' চরম সিদ্ধান্ত যুবতীর
শোকের ছায়া পরিবারে Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 13, 2024 | 4:43 PM

নদিয়া: স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েও হল না শেষ রক্ষা। গ্রামে বসল সালিশি সভা। বিয়ে হল না প্রেমিকের সঙ্গে। এরইমধ্যে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন যুবতী। চাঞ্চল্যকর ঘটনা নদিয়ার কোতোয়ালি থানার ভালুকা ঘোষপাড়া এলাকায়। সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে পূর্বস্থলী থানার ফোলিয়া এলাকার বছর কুড়ির রহিমা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় নদিয়ার কোতোয়ালি থানার ভালুকার বাসিন্দার নজরুল শেখের। পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন নজরুল। বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যে বাড়ি থেকে ভিন রাজ্যে কাজে চলে যান তিনি। 

রহিমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানাচ্ছেন, নজরুল বাইরে গেলেও নিয়মিত বাড়িতে টাকা পাঠাতে থাকেন। স্বচ্ছলভাবেই দিন কাটছিল রহিমার। কিন্তু, স্বামী বাইরে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যে এলাকার অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। কয়েকদিন আগে তাঁরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। দিন দশেক পরে খোঁজ পেয়ে রহিমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। গ্রামে বসে সালিশি সভা। প্রেমিকের সঙ্গে যুবতীর বিয়ের কথাও উঠেছিল বলে খবর। কিন্তু সালিশি সভায় আসেনি রহিমার প্রেমিক।  

এরইমধ্যে খবর পাওয়া যায় শ্বশুরবাড়িতেই গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ওই যুবতী আত্মঘাতী হয়েছেন। পরিবারের সদস্যরাই তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই রহিমার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। 

ঘটনায় নজরুলের দাদা বলছেন, “আমার ভাই তো বাইরে কাজ করে। ওখান থেকেই টাকা পাঠাত। তাতেই তো ওদের সংসার চলত। সবই তো ঠিক ছিল জানতাম। এরমধ্যে আবার ভাইয়ের বউ একটা ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায়। এক সপ্তাহ পর আমরা জানতে পারি ওরা একটা জায়গায় আছে। ওখান থেকে ওকে নিয়ে আসি। থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও নিয়ে যাইনি। এলাকাতেই ঘটনার মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। মাঠে একটা মিটিং ডাকা হয়। কিন্তু, আমরা চেয়েছিলাম ওদের বিয়ে দিয়ে দিতে। এরমধ্যে সভায় আমার ভাইকেও ডাকা হয়েছিল। ও এসেছিল। তবে যে ছেলের সঙ্গে আমার ভাইয়ের বউ পালিয়ে গিয়েছিল সেই ছেলেটি আসেনি। এরইমধ্যে গতকাল মেয়েটা গলায় দড়ি দিয়ে দেয়।”