Trichy Assault Rifle: সেনাবাহিনী পেল বাংলায় তৈরি ত্রিচি রাইফেল, শত্রু নিধনে কতটা দক্ষ? কতই বা দাম?

Trichy Assault Rifle: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে বাংলার তৈরি নয়া রাইফেল। ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে তৈরি হয়েছে এই ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেল।

Trichy Assault Rifle: সেনাবাহিনী পেল বাংলায় তৈরি ত্রিচি রাইফেল, শত্রু নিধনে কতটা দক্ষ? কতই বা দাম?
নিজস্ব ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 14, 2023 | 2:10 PM

ইছাপুর: দেশের সুরক্ষাতে এবার নয়া অস্ত্র। দেশের সামরিক বাহিনী পেল নতুন ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেল। ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকেই বাহিনীর হাতে এই নয়া অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। এই রাইফেলের পরীক্ষাও করা হল। আর সেই পরীক্ষা কতটা সফল হল তা জানাতে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে ঢুঁ মেরেছিল টিভি৯ বাংলা।

দেশের সুরক্ষায় জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। তাই দেশের অস্ত্র ভান্ডার ঢেলে সাজাচ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। দেশের সুরক্ষা মজবুত করতে আরও একধাপ এগোল প্রতিরক্ষা বাহিনী। এর অঙ্গ হিসেবে এবার অত্যাধুনিক ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেল পেল ভারতীয় সেনাবাহিনী। বিএসএফ ও সিআইএসএফ-র হাতে এই নয়া রাইফেল তুলে দেওয়া হল।

এই ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেলের ডিজাইন করেছে তামিলনাড়ুর ত্রিচি অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি। আর সেই ডিজাইন মেনে বন্দুক তৈরি করেছে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেই রাইফেল তুলে দেওয়া হয়েছে সেনা বিভাগের হাতে।

ত্রিচি রাউফেলের কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে?

  • ৭.৬২ x ৩৬ মিলিমিটারের কার্তুজবাহী রাইফেল এটি।
  • এই রাইফেলের শুধু ওজন ৩.৫ কেজি। আর এতে ম্যাগাজিন ভরার পর তার ওজন দাঁড়ায় ৪ কেজি।
  • রাইফেলের দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৯০ কিলোমিটার।
  • সেভ মোড, সিঙ্গল মোড ও স্বয়ংক্রিয় মোডে কাজ করা যায় এই রাইফেলে।
  • সিঙ্গল মোডে একবার ট্রিগার টিপলে একটা গুলি বেরোবে।
  • স্বয়ংক্রিয় মোডে একবার ট্রিগার টিপলে এক মিনিটে ৬০০ রাউন্ড পর্যন্ত ফায়ার করা হয়।
  • এই রাইফেলের ম্যাগাজিনে থাকবে ৩০ টি কার্তুজ।
  • ৩০০ থেকে ৮০০ মিটার রেঞ্জের শত্রুপক্ষকে নিধন করা যাবে এই রাইফেলের সাহায্যে।
  • অন্যান্য় রাইফেলের তুলনায় এই বন্দুকের নলটি অপেক্ষকৃত ছোটো।
  • এই রাইফেল থেকে ছোড়া গুলির গতিও অনবদ্য। ট্রিগার টেপার পর সেকেন্ডে প্রায় ৫৩০ মিটার জোরে ছুটতে পারে গুলি।
  • ইনসাস রাইফেলের তুলনায় কার্তুজের কার্যক্ষমতা অনেক বেশি।
  • এই রাইফেলের দাম ধার্য হয়েছে ৭৬ হাজার টাকা করে।

আগের অ্যাসল্ট রাইফেলের তুলনায় এই রাইফেল অনেকটা হালকা। ফলে সেনাবাহিনীতে এই রাইফেল আসায় শত্রু নিধনে অনেকটাই সুবিধা হবে সেনাদের। এই রাইফেলের ব্যবহারও খুব সহজ। ইতিমধ্যে এই রাইফেলের কার্যক্ষমতা পরীক্ষাও করা হয়েছে। এই পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা এক কর্তা বলেছেন, “এটা ব্যবহার করা খুব সহজ। ওজনেও হালকা। সিঙ্গল থেকে অটো মুড রয়েছে। এর পরিচর্যা করাও সহজ।” এদিকে সিআইএসএফ ও বিএসএফ-র তরফে মোট ২২ হাজার বন্দুকের বরাত দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইতমিধ্যেই ৬ হাজার বন্দুক সিআইএসএফ-র হাতে তুলে দেওয়া হল। আর ইছাপুর রাইফেল ফ্য়াক্টরিতে অতিরিক্ত ৩ হাজার রাইফেলের বরাত দিয়েছে বিএসএফ। চলতি বছরেই বরাতের সমস্ত রাইফেল তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে জানা গিয়েছে। ইছাপুরের রাইফেল ফ্যাক্টরির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জানিয়েছেন, AK সিরিজ়ের এই রাইফেল মূলত কালাশনিকভের আদলেই তৈরি করা হচ্ছে।