Barasat: ‘মনুকে ছাড়া বাঁচতে পারব না’, সেই জুলাইয়েই আত্মঘাতী হলেন মা-বাবাও
Barasat: স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এক বছর আগে ওনাদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়। এই জুলাই মাসেই হয়েছিল। গত রবিবার স্বামী-স্ত্রী এলাকার লোকজনকে জানিয়েছিল বেড়াতে যাচ্ছে। সকলে তাই জানতেন। দরজায় তালা দেওয়াই ছিল। এরইমধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে এলাকায় পচা গন্ধ বেরোতে থাকে। এরপর খোঁজ খবর করে দেখা যায় এই ঘটনা। মেয়ে মারা যাওয়ার পর থেকেই স্বামী-স্ত্রী অবসাদে ভুগতেন। জুতোর দোকানে কাজ করতেন রঞ্জন মণ্ডল। গত এক বছরে প্রতি মুহূর্তে মেয়ের কথা বলেছেন তিনি।
উত্তর ২৪ পরগনা: গত বছর এই জুলাইয়েই মেয়ে মারা গিয়েছিল। মেয়েকে ছাড়া একটা বছর চরম মনকষ্টে কেটেছে মা-বাবার। সেই যন্ত্রণায় এবার আত্মহত্যা করলেন ওই দম্পতি। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সপ্তর্ষি নগরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম মৌসুমী মণ্ডল ও রঞ্জন মণ্ডল। বন্ধ ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এক বছর আগে ওনাদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়। এই জুলাই মাসেই হয়েছিল। গত রবিবার স্বামী-স্ত্রী এলাকার লোকজনকে জানিয়েছিল বেড়াতে যাচ্ছে। সকলে তাই জানতেন। দরজায় তালা দেওয়াই ছিল।
এরইমধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে এলাকায় পচা গন্ধ বেরোতে থাকে। এরপর খোঁজ খবর করে দেখা যায় এই ঘটনা। মেয়ে মারা যাওয়ার পর থেকেই স্বামী-স্ত্রী অবসাদে ভুগতেন। জুতোর দোকানে কাজ করতেন রঞ্জন মণ্ডল। গত এক বছরে প্রতি মুহূর্তে মেয়ের কথা বলেছেন তিনি।
রঞ্জনের সঙ্গে কাজ করেন এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ আসগর আলি। তাঁর কথায়, “গত বছর ২০ জুলাই ওনার মেয়ে মারা যায়। তারপর থেকেই মন মেজাজ একেবারেই ভাল ছিল না। বারবার আমাদের বলেছেন, বেঁচে থেকে কী লাভ? একবার দিঘায় গিয়ে নাকি ট্যাবলেট খেয়ে সুইসাইড করতে চেয়েছিল। আমরা ওকে সবসময় বোঝাতাম এটা করে কী হবে। বন্ধুদের ফোন করে বলল গঙ্গাসাগর যাবে। তারপর এই খবর শুনি। মেয়ের মৃত্যুটা মেনে নিতে পারেনি।”