Jayanta Singh: ‘এখন আর উপায় নেই, প্রেশার দিচ্ছে’, আড়িয়াদহ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত সিং অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন
Jayanta Singh: বৃহস্পতিবার তিনি বেলঘরিয়া থানায় আত্মসমর্পণ করেন। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ তাঁঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। আড়িয়াদহে এক প্রৌঢ়া ও তাঁর ছেলেকে বেধড়ক মারধরে অভিযুক্ত জয়ন্ত সিং। কিন্তু পুলিশ কেন গ্রেফতার করতে পারল না? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
উত্তর ২৪ পরগনা: অবশেষে গ্রেফতার আড়িয়াদহ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত সিং। ঘটনার পর চারদিন ধরে ফেরার ছিলেন জয়ন্ত। বৃহস্পতিবার তিনি বেলঘরিয়া থানায় আত্মসমর্পণ করেন। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ তাঁঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। আড়িয়াদহে এক প্রৌঢ়া ও তাঁর ছেলেকে বেধড়ক মারধরে অভিযুক্ত জয়ন্ত সিং। কিন্তু পুলিশ কেন গ্রেফতার করতে পারল না? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বেলঘরিয়ার আড়িয়াদহের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়া ও তাঁর ছেলেকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, কলেজ পড়ুয়া সায়নদীপ পাঁজার সঙ্গে কিছু একটা বিষয় নিয়ে পাড়ারই ছেলেদের বচসা হয়। সাময়িকভাবে বিষয়টা মিটেও যায়। সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনেই বসেছিলেন সায়নদীপ। অভিযোগ, তখন ৮-১০ জন যুবক তাঁর ওপর হামলা চালায়। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর মাও। মারের চোটে সায়নদীপের দাঁত ভেঙে যায়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পায় পুলিশ। মূল অভিযুক্তের তালিকায় উঠে আসে জয়ন্ত সিংয়ের নাম। তারপর থেকে পুলিশের চোখে তিনি ফেরারই ছিলেন। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ষণ্ডা মার্কা নেতাকে খুঁজে পাচ্ছিল না পুলিশ। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে বেলঘরিয়া থানায় হাজিরা দেন জয়ন্ত। কিন্তু কেন পুলিশ তাঁকে চার দিন ধরে খুঁজে পেল না? তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে।
বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “আমি তো আগেই বলেছিলাম। জয়ন্ত সিং নিজেই এসে আত্মসমর্পণ করবে। এর মধ্যে কোনও রকেট সায়েন্স নেই। এটা ডেলি ইস্যু। যাঁরা মাঠে ময়দানে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা প্রত্যেকেই জানেন, অপরাধীর টাইপটা কী, পুলিশের সঙ্গে তাঁদের নেগোসিয়েশনটা কী? হয়তো তৃণমূলেরই কোনও নেতা তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন, কয়েকদিন ভিতরে থাকতে।”
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ” তৃণমূল রাজত্বে যা হওয়ার কথা, সেটাই হয়েছে, পুলিশের হিম্মত নেই জয়ন্ত সিং মার্কা লোককে গ্রেফতার করুক। সবাই বলছে মদন মিত্রের সঙ্গী, মদন মিত্র বলছে সৌগত রায়ের সঙ্গী। তাই গ্রেফতার করার হিম্মত নেই। তৃণমূল নেতা বলেছেন, জামাই আদর থানায় হাজিরা দাও, সেটাই দিয়েছে। তারপর গ্রেফতার হয়েছে।”
প্রাক্তন পুলিশ কর্তা অনিল জানাই বলেন, “এখন আর কোনও উপায় নেই। পুলিশই প্রেসার দিয়েছে। এখনই আত্মসমর্পণ করো, না হলে আমাদের মান সম্মান থাকছে না। “