Barasat: দেড় মানুষ সমান জল থাকত এই জমিতেই! বারাসতে পুকুর ভরাটের অভিযোগে হইচই
Barasat: স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকাটি আগে পুকুর ছিল, কিন্তু এখন ভরাট করে দিচ্ছেন ওই জমির মালিক। এমন অবস্থায় এবার স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুর ভরাট রুখতে সরব হয়েছেন। সেই আন্দোলনের জেরে ওই জমিকে আবার আগের চেহারায় ফেরানোর জন্য মালিকপক্ষকে নোটিস পাঠিয়েছে পুরসভা।
বারাসত: বেশিদিন আগের কথা নয়, এই জমিতে দেড় মানুষ সমান জল থাকত। কিন্তু এখন জলের চিহ্নমাত্র নেই। মাটি ফেলে পুরোটা বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রায় সাড়ে সাত বিঘা জায়গা এভাবে ভরাট করে ফেলা হয়েছে বারাসতে কাজিপাড়া রেল গেটের কাছে যশোর রোড লাগোয়া নন্দগড় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকাটি আগে পুকুর ছিল, কিন্তু এখন ভরাট করে দিচ্ছেন ওই জমির মালিক। এমন অবস্থায় এবার স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুর ভরাট রুখতে সরব হয়েছেন। সেই আন্দোলনের জেরে ওই জমিকে আবার আগের চেহারায় ফেরানোর জন্য মালিকপক্ষকে নোটিস পাঠিয়েছে পুরসভা।
জানা যাচ্ছে, এই জমিটি নিয়ে অনেকদিন ধরেই আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। এর আগেও একবার বিএলএলআরও-র দফতর থেকে পুকুর ভরাট বন্ধের জন্য জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই সময় বিএলএলআরও-র নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মালিকপক্ষ। মালিকপক্ষের দাবি, বিএলএলআরও-কে হস্তক্ষেপ না করার জন্য বলেছিল আদালত। এসবের মধ্যেই ফের পুকুর ভরাটের অভিযোগ ঘিরে এলাকায় ক্ষোভ জমছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে।
যদিও ওই জমির মালিক রাজা সাহানির দাবি, এই জমিতে পুকুরের কোনও ব্যাপারই নেই। এই জমিটি শুরু থেকেই ডাঙা ইটখোলা ছিল বলে দাবি জমির মালিকের। তাঁর প্রশ্ন, জায়গাটি যদি ডাঙা জমি হয়, তাহলে কেন সেটাকে পুকুর করা হবে? এদিকে বিএলএলআরও সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানাচ্ছেন, ‘আদালতের নির্দেশ মতো যা হলফনামা জমা করার, সেটা আমরা করেছি। আগামী দিনে আদালতের যা আদেশ হবে, সেই মতো আমরা তা কার্যকর করব।’
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল বারাসত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত জানাচ্ছেন, পুরসভার তরফে ইতিমধ্যেই আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে ঘটনাটি নিয়ে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না জলাশয় ভরাট হোক। যেখানে যেখানে জলাশয় ভরাট হয়েছে, দরকার হলে আমরা খুঁড়ে মাটি তুলে দেব।’