Barrackpore Station: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীন ব্যারাকপুর স্টেশনের কাজই শুরু হয়নি, গলার কাঁটা একটাই
Barrackpore Station: জানা গিয়েছে, রেলের জমিতে প্রায় দশ থেকে চল্লিশ বছর ধরে ব্যবসা করেছেন হকাররা। কোথাও চায়ের দোকান গড়ে উঠেছে। কোথাও ছোটখাটো খাবারের দোকান, কোথাও লটারি ইত্যাদি-ইত্যাদি অনেক কিছু। প্রায় ৭০০ মতো হকার সেখানে ব্যবসা করে খাচ্ছেন। এদের সকলের দাবি, পুনর্বাসন না দিলে কোনও ভাবেই নিজেদের দোকান বন্ধ করবেন না তাঁরা।
ব্যারাকপুর: কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অমৃত ভারত প্রকল্প’। এ রাজ্যের বিভিন্ন স্টেশনের মতো এই প্রকল্পের অধীন হয়েছে ব্যারাকপুর স্টেশন। পুরনো এই স্টেশনকে ঝকঝকে-তকতকে করে তুলতে খরচ হবে কোটি টাকা। কিন্তু গলার কাঁটা একটাই ‘হকার’। যা উচ্ছেদ করতে না পারায় উন্নয়নের কাজ এখনও আটকে। এ দিকে, গরিব-খেটে খাওয়া এই মানুষগুলি বলেছেন, যতক্ষণ না তাঁদের পুর্নবাসন দেওয়া হবে ততক্ষণ উচ্ছেদ করা যাবে না।
ব্যারাকপুর স্টেশনকে আধুনিক করতে ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল। যাত্রি সাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে আধুনিক মানের এ গ্রেডেড ব্যবস্থা থাকবে। স্টেশনে গড়ে তোলা হবে শপিং মল। আরও কত কিছু! কিন্তু এতসবের পরও রেলের এই প্রকল্পের কাজ এগোয়নি শুধু মাত্র হকারদের জন্য।
জানা গিয়েছে, রেলের জমিতে প্রায় দশ থেকে চল্লিশ বছর ধরে ব্যবসা করেছেন হকাররা। কোথাও চায়ের দোকান গড়ে উঠেছে। কোথাও ছোটখাটো খাবারের দোকান, কোথাও লটারি ইত্যাদি-ইত্যাদি অনেক কিছু। প্রায় ৭০০ মতো হকার সেখানে ব্যবসা করে খাচ্ছেন। এদের সকলের দাবি, পুনর্বাসন না দিলে কোনও ভাবেই নিজেদের দোকান বন্ধ করবেন না তাঁরা।
এক হকার বলেন, “এখানে আমরা অনেকদিন ধরেই দোকান করে খাচ্ছি। পুনর্বাসন না দিলে চলবে কীভাবে? আমাদের মধ্যে অনেক বয়স্ক মানুষ রয়েছেন। তাঁদের সম্পূর্ণ রুজি-রুটি এখান থেকে আসে। উঠিয়ে দিলে কীভাবে হবে?” বিধায়ক এবং তৃণমূলের ব্যারাকপুর শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সোমনাথ শ্যাম বলেন, “ওরা RPF দেখালে আমাদেরও পুলিশ আছে। কোনও মতেই পুর্নবাসন না দিয়ে উচ্ছেদ চলবে না।” তবে নিত্য রেল যাত্রীরা চান ব্যারাকপুর মডেল স্টেশন হোক। এতে সকলের ভাল হবে। তবে হকারদের পুর্নবাসন দিয়ে করলে ভাল হয়।